অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে ভারতের পাঞ্জাবের সরকার, জবাব তলব করল শীর্ষ আদালত


পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবৎ সিং মান এবং পাঞ্জাবের রাজ্যপাল বানোয়ারিলাল পাটোয়ারী।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবৎ সিং মান এবং পাঞ্জাবের রাজ্যপাল বানোয়ারিলাল পাটোয়ারী।

ভারতের শীর্ষ আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়লেন পাঞ্জাবের রাজ্যপাল। রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল আটকে রাখার কারণেই সুপ্রিম কোর্টের এই পদক্ষেপ। কেন বিলগুলি তিনি আটকে রেখেছেন আগামী শুক্রবার, ১১ নভেম্বরের মধ্যে সে ব্যাপারে রাজ্যপালের জবাব তলব করেছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের‌ বেঞ্চ।

অবিজেপি দল শাসিত ভারতের প্রায় সব রাজ্যেই রাজ্যপালদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরোধ বর্তমানে চরমে উঠেছে। পাঞ্জাবের রাজ্যপাল বানোয়ারিলাল পাটোয়ারী এর আগে বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে সম্মতি না দেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে পড়েছিলেন। পরে শীর্ষ আদালতের নির্দেশে রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা মতো বিধানসভার অধিবেশন ডাকার প্রস্তাবে সম্মতি দিতে বাধ্য হন তিনি। এই ঘটনার পরেও রাজ্যপালের আচরণে পরিবর্তন না আসায় শীর্ষ আদালত উষ্মা প্রকাশ করে।

প্রধান বিচারপতি সোমবার ৭ নভেম্বর শুনানিতে বলেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের বিবাদ আদালত পর্যন্ত গড়ানো মোটেই কাম্য নয়। দু' পক্ষ নিজেদের মধ্যে কথা বলে বিবাদ মিটিয়ে নেবে, এটাই কাম্য।

পাঞ্জাবের আপ (আম আদমি পার্টি) সরকারের অভিযোগ রাজ্য সরকার বিধানসভায় পাশ হওয়া সাতটি বিল আটকে রেখেছেন। তিনি কোনও কারণ জানাননি কেন বিলগুলিতে সম্মতি দিচ্ছেন না।

আপ সরকার আদালতে যাওয়ার পরেই রাজ্যপাল, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবৎ সিং মানকে চিঠি লিখে কথা দেন, রাজ্যবাসীর স্বার্থে তিনি বিলগুলি খতিয়ে দেখছেন।

তার এই বার্তায় যদিও মামলাটির গুরুত্ব কমেনি। শীর্ষ আদালত সোমবার বলে, রাজ্যপালেরা অনাদিকাল বিল আটকে রাখতে পারেন না। বিলে সম্মতি বা অসম্মতি নিয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে হবে।

চলতি বছরের শুরুতে তেলেঙ্গানা সরকারের মামলায় বর্তমান প্রধান বিচারপতি ওই রাজ্যের রাজ্যপাল তামিলিসাই সুন্দররাজনকে একই পরামর্শ দিয়েছিলেন।

গত সপ্তাহে তামিলনাড়ু এবং কেরল সরকার সুপ্রিম কোর্টে দুই রাজ্যের রাজ্যপাল যথাক্রমে এন রবি ও আরিফ মহম্মদ খানের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার বিল আটকে রাখার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে।

XS
SM
MD
LG