বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ পর্যন্ত মোট ১১ লাখ ৬৬ হাজার নারী শ্রমিক পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১ নভেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আদিবা আনজুম মিতার প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ।
তিনি বলেন, বিদেশে নারী শ্রমিকের চাহিদা বেশি এমন দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে-সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার, মরিশাস, লেবানন ও বাহরাইন।
ইমরান আহমদ বলেন, “অভিবাসী নারী শ্রমিকেরা যাতে কোনো বৈষম্যের শিকার না হন তা নিশ্চিত করতে সরকারের সতর্কতা ও উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে”।
ইমরান আহমদ বলেন, সৌদি আরব, জর্ডান, ওমান ও লেবাননে অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সুরক্ষায় মোট ৬টি নিরাপদ অঞ্চল রয়েছে।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, চলতি অর্থবছরের অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩৭ জন শ্রমিককে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১১ লাখ ২৫ হাজার ৮২৫ জনকে বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়েছে।
সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, ২০১৭ সাল থেকে গত ৬ বছরে রোহিঙ্গাদের জন্য সরকার ৯ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।
এ ছাড়া প্রাকৃতিক বন ও সামাজিক বনায়নের কারণে বনজ সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি ও জীববৈচিত্র্যের সম্ভাব্য ক্ষতির পরিমাণ ২০৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও ইউএনএইচসিআরের যৌথ যাচাইয়ের তথ্য অনুযায়ী, কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার ৩৩টি ক্যাম্পে ৯ লাখ ৩৪ হাজার ৭১৯ জন এবং নোয়াখালীর ভাসানচরে ৩০ হাজার ৭৪৮ জন বসবাস করছেন।
এছাড়া ২৬ হাজার ১৬৫ জন রোহিঙ্গা যাচাই প্রক্রিয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।
তিনি বলেন, ফলে, বাংলাদেশে মোট ৯ লাখ ৯১ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করছেন।