অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

কক্সবাজারের পাহাড় থেকে আরসার ২ কমান্ডার গ্রেপ্তার


কক্সবাজারের পাহাড় থেকে আরসার ২ কমান্ডার গ্রেপ্তার। (প্রতীকী ছবি)
কক্সবাজারের পাহাড় থেকে আরসার ২ কমান্ডার গ্রেপ্তার। (প্রতীকী ছবি)

মিয়ানমারের রাখাইনকেন্দ্রিক গ্রুপ, আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) দুই কমান্ডারকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশের র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র‍্যাব। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন অরণ্য ঘেরা পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব-১৫-এর আইন ও গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সংবাদ পেয়ে র‍্যাব উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে আরসার দুই শীর্ষ কমান্ডারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিদেশি অস্ত্র ও গুলি জব্দ করা হয়েছে। এই অভিযানে আরসার একটি টর্চার সেলের সন্ধান মিলেছে।”

গ্রেপ্তারদের মধ্যে একজন হলেন, আরসার অন্যতম কমান্ডার, ওলামা বডি ও টর্চার সেলের প্রধান ওসমান ওরফে সালমান। তবে, অন্যজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি র‌্যাব।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো জানান, “ওসমান, বাংলাদেশর গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই-এর কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডসহ রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন আলোচিত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত।”

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ও র‌্যাব

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‍্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ও পররাষ্ট্র দপ্তর পৃথকভাবে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়। এই কর্মকর্তাদের মধ্যে র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) তোফায়েল মোস্তাফা সরোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) মো. আনোয়ার লতিফ খানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর পৃথক এক ঘোষণায় বেনজীর আহমেদ এবং র‍্যাব ৭–এর সাবেক অধিনায়ক মিফতাহ উদ্দীন আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), মাদক দ্রব্যের বিরুদ্ধে সরকারের লড়াইয়ে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত। এতে বলা হয়েছে যে, তারা আইনের শাসন, মানবাধিকারের মর্যাদা ও মৌলিক স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে ক্ষুণ্ন করে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থের বিরুদ্ধে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। র‍্যাব হচ্ছে ২০০৪ সালে গঠিত একটি সম্মিলিত টাস্ক ফোর্স। তাদের কাজের মধ্যে রয়েছে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অপরাধীদের কর্মকান্ড সম্পর্কে গোপন তথ্য সংগ্রহ এবং সরকারের নির্দেশে তদন্ত পরিচালনা করা।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বা এনজিওদের অভিযোগ হচ্ছে যে, র‍্যাব ও বাংলাদেশের অন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ২০০৯ সাল থেকে ৬০০ ব্যক্তির গুম হয়ে যাওয়া এবং ২০১৮ সাল থেকে বিচার বহির্ভূত হত্যা ও নির্যাতনের জন্য দায়ী। কোনো কোনো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এই সব ঘটনার শিকার হচ্ছে বিরোধী দলের সদস্য, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা।

XS
SM
MD
LG