অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকেরা


বিরোধী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া
বিরোধী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

বিরোধী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ও রিপোর্ট যাচাই-বাছাই করতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদল বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে তাঁর চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেছেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ মেডিসিনের হামিদ রব, ক্রিস্টোস জর্জিয়াডেস ও জেমস পি এ হ্যামিল্টন দুপুর দেড়টার দিকে হাসপাতালে যান এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ওই তিন চিকিৎসক খালেদা জিয়ার বিভিন্ন মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করেন এবং কেবিনে তাঁকে দেখতে যান।

শায়রুল কবির আরও বলেন, খালেদা জিয়ার পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকেরা মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

উল্লেখ্য, বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ড. হামিদ রব ও ড. জেমস পি এ হ্যামিল্টন ঢাকায় পৌঁছান। আরেক চিকিৎসক ক্রিস্টোস জর্জিয়াডেস রাত ২টার দিকে বিমানবন্দরে পৌঁছান।

খালেদা জিয়ার পরিবার এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে আলোচনার পর নেফ্রোলজি, হেপাটোলজি, ইন্টারন্যাশনাল রেডিওলজি ও লিভার-কিডনি ট্রান্সপ্লান্টসহ বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ তিন চিকিৎসককে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। তারা ট্রান্সজুগুলার ইন্ট্রাহেপ্যাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট বা লিভার সিরোসিসের রোগীদের চিকিৎসা করেন।

খালেদা জিয়া ৯ আগস্ট থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

৯ অক্টোবর এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড সুপারিশ করে, বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার কোনো বিকল্প না থাকায় তাঁকে দ্রুত বিদেশে মাল্টিডিসিপ্লিনারি সেন্টারে পাঠানো হোক।

হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে বোর্ডের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, পেট ও বুকে পানি জমে যাওয়া বন্ধে যথাযথ চিকিৎসার অভাবে, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিসের কারণে সৃষ্ট সংক্রমণের কারণে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

XS
SM
MD
LG