বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব-এ, সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকালে ট্রেন দুর্ঘটনা তদন্তে তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো.সিরাজ-উদ-দৌলা খান জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম রেলওয়ের গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন; সিওপিএস মো. শহিদুল ইসলাম, চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ জাকির হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী আরমান হোসেন, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (সিএসপি) তুষার এবং চিফ মেডিকেল অফিসার আহাদ আলী সরকার।
তিনি আরো বলেন যে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী লোকোমোটিভ, বিভাগীয় প্রকৌশলী-১, বিভাগীয় সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলীর সমন্বয়ে আরো একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।তবে প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেননি তিনি।
এদিকে, রেল মন্ত্রণালয় আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটির বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে। তবে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
১৬ জনের পরিচয় মিলেছে, একজন অজ্ঞাত
কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয় ও জেলা পুলিশ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে নিহত ১৭ জনের মধ্যে ১৬ জনের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেছে। নিহতদের মধ্যে, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বনাটি টাঙ্গাইল পাড়া গ্রামের একই পরিবারের ৪ জন রয়েছেন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন; কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের মো. কাশেমের ছেলে গোলাপ (২৩), মিঠামইন উপজেলার চানপুর গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে সাইমন মিয়া (২২) ও ভরা গোলহাটি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে রাসেল মিয়া (২৬), করিমগঞ্জ উপজেলার সাকুয়া গ্রামের জোনায়েদ হোসেনের স্ত্রী হোসনা খাতুন (২৩), ভৈরব উপজেলার রাণীবাজার এলাকার প্রবোধ চন্দ্র শীলের ছেলে সবুজ চন্দ্র শীল (৫০), রাধানগর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে আফজাল হোসাইন (২৪), শ্রীনগর গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে রাব্বী (৩০), আমলাপাড়া এলাকার (স্থায়ী ঠিকানা নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার মাহমুদাবাদ গ্রাম) দর্শন মিয়ার ছেলে নজরুল (৪০)।
এই তালিকায় আরো রয়েছেন; কুলিয়ারচর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ঘাটিপাড়া গ্রামের মৃত জিল্লুর রহমানের ছেলে হুমায়ুন কবির (৫৭), বাজিতপুর উপজেলার ডুয়াইগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে আছির উদ্দিন (৩৪), ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বনাটি গাঙ্গাইলপাড়া গ্রামের মহিজ উদ্দিনের ছেলে সুজন মিয়া (৩৪), তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৫) ও তাদের দুই ছেলে যথাক্রমে সজীব (১১) ও ইসমাঈল (৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার বরইচারা গ্রামের মৃত সদর আলী সরকারের ছেলে নিজাম উদ্দিন (৬৫), ঢাকার দক্ষিণ খান থানার ৭৮ নর্দা পাড়া এলাকার (ইয়াকুব আলী রোড, বায়তুস সুজুত জামে মসজিদের পাশে) মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে একেএম জালাল উদ্দিন আহম্মেদ (৩৭) ও অজ্ঞাত এক পুরুষ (৩৩)।
সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহত ব্যক্তিদের তালিকা পেয়েছেন তিনি।