অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চট্টগ্রামে দুর্গোৎসব হবে ২১৭৫ মণ্ডপে; ৮ দাবি উদযাপন পরিষদের


চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে, চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। ১৭ অক্টোবর, ২০২৩।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে, চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। ১৭ অক্টোবর, ২০২৩।

বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলায় এবছর ২ হাজার ১৭৫ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে সর্বজনীন প্রতিমা পূজা ১ হাজার ৬৫১ এবং ঘটপূজা ৫২৪টি। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এসময়, সাধারণ সম্পাদক সুগ্রীব মজুমদার দোলন আটটি দাবি জানান।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে; সব উপজেলায় একটি করে মডেল মন্দির নির্মাণ, চণ্ডীতীর্থ মেধস আশ্রমের সংস্কার ও সড়কের উন্নয়ন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে ফাউন্ডেশনে রূপান্তর, দুর্গোৎসবে চার দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা, সংখ্যালঘু কমিশন গঠন ও সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণের পদক্ষেপ গ্রহণ, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের বাস্তবায়ন জটিলতা নিরসন এবং রাণী রাসমণি বারুণী স্নানঘাট, তথা সমুদ্রতীর্থ সংরক্ষণে সরকারের যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ।

সুগ্রীব মজুমদার বলেন, “সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল, জনপ্রতিনিধি ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা শূন্যের কোটায় নেমে আসবে।” তিনি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে প্রতিমা বিসর্জন পরিহারের আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক শ্যামল কুমার পালিত বলেন, “সরকারি অর্থায়নে ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে মেধস আশ্রম সড়কে কার্পেটিং হচ্ছে। দুর্গাপূজা বাঙালির উৎসব। তাই চার দিন ছুটির দাবি জানাই। বর্তমানে একদিন ছুটি আছে।”

তিনি বলেন, “অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে কিছু পূজামণ্ডপে প্রশাসনের নজরদারি বেশি থাকবে। আমরা মনে করি প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সক্ষম। সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়ালে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবে পুলিশ।”

সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষ, সাবেক সভাপতি দীলিপ কুমার, সহ-সভাপতি বিপুল কান্তি দত্ত, সুনীল ঘোষ, বিশ্বজিৎ পালিত।

XS
SM
MD
LG