বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ভারতের জন্য সর্বোত্তম নিরাপত্তা গ্যারান্টি হতে পারে; শক্তিশালী, স্থিতিশীল ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সিলেটে অনুষ্ঠিত সিলেট-শিলচর উৎসবে তিনি একথা বলেন।
ড, মোমেন বলেন, “বাংলাদেশের স্থিতিশীল আর্থ-সামাজিক অবস্থা, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক-কে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে এবং ভারতের জন্য সর্বোত্তম নিরাপত্তা গ্যারান্টি নিশ্চিত করতে পারে।” তিনি বলেন, “সম্পদ ও কর্মশক্তিকে কার্যকরভাবে একীভূত করতে, সহযোগিতার জন্য জনসমর্থনকে একত্র করতে এবং উপ-অঞ্চলের পূর্ণ পুনরুজ্জীবন অর্জনের জন্য উন্নয়নই বাংলাদেশের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।”
আব্দুল মোমেন আশা প্রকাশ করেন, অভিন্ন সংস্কৃতি, একই ধরনের খাবার এবং দুই দেশের অভিন্ন আকাঙ্খা প্রদর্শনের মাধ্যমে, সিলেট-শিলচর উৎসব; বিশেষ করে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সম্পর্ক আরো মজবুত করতে খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমাদের ভাগ্য ওতপ্রোতভাবে জড়িত এবং আমাদের ভবিষ্যৎ ভাগ করা সমৃদ্ধির ওপর ভিত্তি করে রচিত। বাংলাদেশ, একটি বৈশ্বিক শক্তি হিসেবে ভারতের উত্থান-কে, তার নিজের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার একটি বড় সুযোগ বলে মনে করে।”
তিনি আরো বলেন, “একটি শক্তিশালী, স্থিতিশীল ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ ভারতের জন্য সর্বোত্তম নিরাপত্তা গ্যারান্টি নিশ্চিত করতে পারে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে স্থিতিশীলতা আনয়নে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দ্ব্যর্থহীন সমর্থন, উভয় পক্ষের আস্থাকে উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করেছে।”
তিনি বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে 'জিরো-টলারেন্স নীতি' ভারতীয় নেতৃত্বের দ্বারা প্রশংসিত হয়েছে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী গত বছর আসাম সফরের সময় তার সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন এবং ব্যক্তিগতভাবে প্রশংসা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে দুই দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার হয়েছে।”
আব্দুল মোমেন বলেন, “বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বর্তমানে একটি সোনালী অধ্যায়-এর মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং প্রতিবেশী কূটনীতির জন্য অনুসরনীয় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। সিলেট-শিলচর উৎসব, জনগণের মধ্যে বন্ধন জোরদার করতে এবং ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে লালন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”
“ভৌগোলিক, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত এবং আসামের জন্য এটি আরো প্রাসঙ্গিক;” উল্লেখ করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন।
ভারতের পররাষ্ট্র ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. রাজকুমার রঞ্জন সিং বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলো জনগণের উন্নতির জন্য একসঙ্গে কাজ করতে পারে।” তিনি দুই সরকারের গৃহীত সংযোগ প্রকল্পগুলোর সাম্প্রতিক অগ্রগতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।