আহত শিক্ষার্থীরা হলেন; মাহফুজুর রহমান আলিফ, বায়েজিদ, নাসিফ, আজিম মাহমুদ তৌহিদ, সিফাতুল ইসলাম, আজাহা, মাহিন ও জুনায়েদ। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া জানান, “আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”
ব্যাচেলর পয়েন্ট কাবাব দোকানের ব্যবস্থাপক বোরহান উদ্দিন জানান, রেস্টুরেন্টের আহত কর্মচারীদের সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন; হাবিব, আরিফ, রিপন, আল আমিন ইসলাম, আলিম মিয়া, আরিফ, আলামিন ও বোরহান উদ্দিন।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক বন্ধু রবীন্দ্র সরোবরে গিয়ে একটি দোকানে আড্ডা দেয় ও তাস খেলে। দোকানের এক কর্মী তাদের অন্য কোথাও বসতে বলেছিলেন এবং তাদের সেখানে তাস খেলতে দেয়া হয়নি। এক পর্যায়ে, কর্মচারীরা এক ছাত্রীকে গালিগালাজ করেন। তারা বলেন, ঘটনা জানার পর আরো কয়েকজন সহপাঠী ও বন্ধু বিষয়টি সমাধানের জন্য সেখানে গেলে দোকানের কর্মীরা রড ও লাঠি দিয়ে তাদের পিটিয়ে আহত করে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে দোকানের ব্যবস্থাপক ও কর্মচারীরা জানান, কোনো কারণ ছাড়াই শিক্ষার্থীরা হামলা চালিয়ে তাদের দোকান ভাঙচুর করে। ব্যবস্থাপক বোরহান উদ্দিন বলেন, “শতাধিক শিক্ষার্থী দোকানে এসে কর্মচারী ও মালিককে মারধর করে ও ভাংচুর করে। আমাদের ক্যাশ বাক্স খোলা থাকায় তারা আমাদের ১ লাখের বেশি টাকা নিয়ে যায়।”
তিনি আরো জানান, “যখন তারা বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে এসেছিলো, তখন আমি এবং আমার কর্মীরা তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলাম; কিন্তু তারা কোনো পাত্তা দেয়নি।”
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম বলেন, “এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তিনি কোনো অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।”