বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং এ অঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য, আরো ১১ কোটি ৬০ লাখ ডলারের বেশি মানবিক সহায়তা প্রদান করবে যুক্তরাষ্ট্র। এই সহায়তার মধ্যে, রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয়দানকারী সম্প্রদায়ের জন্য রয়েছে ৭ কোটি ৪০ লাখ ডলারের বেশি অর্থ।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি জে. ব্লিঙ্কেন। এই নতুন অর্থায়নের মধ্য দিয়ে ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে মিয়ানমার, বাংলাদেশ এবং এই অঞ্চলের সংকটে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মোট সহায়তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০২ কোটি ডলারের বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি জে. ব্লিঙ্কেন বলেন, “এই তহবিল বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা প্রদান করে; যাদের অনেকে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং জাতিগত নির্মূল অভিযান থেকে বেঁচে গেছেন।”
এই সহায়তার মধ্যে; নিরাপদ পানীয় জল, স্বাস্থ্যসেবা, সুরক্ষা, শিক্ষা, আশ্রয় ও মনোসামাজিক সহায়তা রয়েছে বলে জানান ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন,“যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য রোহিঙ্গা-আশ্রয় দানকারী দেশের সরকার ও জনগণের উদারতার স্বীকৃতি দেয় এবং অন্যান্য দাতাদেরও, বাংলাদেশে মানবিক প্রতিক্রিয়ায় অবদান রাখতে, মিয়ানমারে সহিংসতা থেকে বিতাড়িত ও ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা বৃদ্ধি করতে এবং শরণার্থী সংকটের স্থায়ী সমাধানে কাজ করার আহ্বান জানায়।”