অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

নির্বাচন কমিশনকে নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব দেয়া হয়েছে: নিউইয়র্কে আব্দুল মোমেন


বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনকে নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মতৎপরতা নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “নির্বাচন কমিশন একটি আইনের মাধ্যমে গঠিত। নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ প্রধানমন্ত্রী দেন না। রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী চাইলেও নির্বাচন কমিশনারদের বরখাস্ত করা যাবে না। অনিয়ম দৃশ্যমান হলে, ইসি যেকোনো সরকারি কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত, অপসারণ বা শাস্তি দিতে পারে।”

আব্দুল মোমেন বলেন, “একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন-এর আয়োজন করার জন্য রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও দৃষ্টিভঙ্গি নির্বিশেষে সবার আন্তরিকতা প্রয়োজন। তাহলেই আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবো। আমরা বিশ্বে একটি উদাহরণ স্থাপন করতে চাই যে আমরা এমন নির্বাচন করতে পারি।”

তিনি বলেন, “ভোট কারচুপি বা অনিয়ম হলে ইসি কোনো ভোট কেন্দ্রে ভোট বাতিল করতে পারে। নির্বাচন কমিশনকে, নির্বাচনের বিষয়ে নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে।”

এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে।তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের খুব উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে; আর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই সম্পর্ক আরো দৃঢ় করতে চান, উৎসাহিত করতে চান।”

ড. মোমেন জানান যে এই সম্পর্ক আরো গভীর করতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন একাধিক প্রতিনিধি দল (বাংলাদেশে) পাঠিয়েছেন এবং তারা আমাদের বন্ধু হিসেবে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “এক বন্ধু অন্য বন্ধুকে উপদেশ দিতে পারে; আমরা তাদের অনেক উপদেশ গ্রহণ করেছি। আমরা বলেছি যে পরামর্শ যদি বস্তুনিষ্ঠ হয়, তবে আমরা অবশ্যই তা গ্রহণ করবো।”

একটি উদাহরণ তুলে ধরে আব্দুল মোমেন বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে যে এটির কিছুটা অপব্যবহার হচ্ছে। সুতরাং, আমরা এটি নিয়ে কাজ করেছি... আমরা একসঙ্গে কাজ করছি।”

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য যে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে, তা নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না।” তিনি বলেন, “এটা আমাদের জন্য ভালো। কারণ, আমরা চাই সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হোক এবং কেউ হিংসা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করুক। সুতরাং, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে কাজ করছে। আমরা এই বিষয়গুলো নিয়ে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।”

XS
SM
MD
LG