অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রোডমার্চ কর্মসূচিতে নাটোরে গাড়িতে আগুন; আওয়ামী লীগ দায়ী, বলছে বিএনপি


কর্মসূচি চলাকালে, রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নাটোর সদর উপজেলার ডালসড়ক এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে একটি মাইক্রোবাসে আগুন দেয়া হয়।
কর্মসূচি চলাকালে, রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নাটোর সদর উপজেলার ডালসড়ক এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে একটি মাইক্রোবাসে আগুন দেয়া হয়।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রোডমার্চ চলাকালে, নাটোরে একটি মাইক্রোবাসে অগ্নিসংযোগ ও আরো কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। রবিবারের (১৭ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ বলেছে যে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে, বিএনপি এ ঘটনার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কর্মীদের দায়ী করেছে।

বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন, বগুড়া থেকে রাজশাহী পর্যন্ত যুব রোডমার্চ-এর আয়োজন করে। কর্মসূচি চলাকালে, রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নাটোর সদর উপজেলার ডালসড়ক এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে একটি মাইক্রোবাসে আগুন দেয়া হয়। এছাড়া, নাটোর জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রাইভেটকারসহ বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর করা হয়।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ জানান, “কারা মাইক্রোবাসে আগুন দিয়েছে এবং গাড়ি ভাঙচুর করেছে তা এখনো পরিষ্কার নয়।পুলিশ ঘটনা তদন্ত করছে।” জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু তাদের দলের তারুণ্যের রোড মার্চ কর্মসূচিতে সহিংসতার জন্য ক্ষমতাসীন দলের লোকদের দায়ী করেন।

তিনি অভিযোগ করেন, “বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের রোডমার্চ ঠেকাতে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছে।”

আওয়ামী লীগের নাটোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রকষাকারী বাহিনী তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করবে।”

আগামী নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে, সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ১৩ সেপ্টেম্বর রোডমার্চের ঘোষণা দেয় বিএনপি’র অঙ্গ সংগঠনগুলো। কর্মসূচি ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

XS
SM
MD
LG