আগামীতে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কানাডার টরেন্টোতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে, প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বাংলাদেশের উন্নয়ন যাদের পছন্দ নয়, এমন কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী দেশে-বিদেশে নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। যত অপপ্রচারই হোক, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আগামীতেও আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসবে এবং দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখবে।”
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যত অপপ্রচার হয়, তার বেশিরভাগই হয় বিদেশ থেকে। প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে আমি এই সব অপপ্রচারের জবাব দেয়ার আহ্বান জানাই।” তিনি আরো বলেন, “১৯৭১ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছিলো; বাংলাদেশের জন্ম ঠেকানো যায়নি। তেমনি বর্তমানে যত ষড়যন্ত্রই হোক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে।”
প্রবাসে বসবাসরত প্রত্যেক বাংলাদেশিকে দেশের ‘দূত’ হিসেবে অভিহিত করেন হাছান মাহমুদ। প্রবাসীদের কানাডার মূলধারার রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
জনগণ এখন ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে না: রংপুরে মির্জা ফখরুল
এদিকে, শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রংপুরে তারণ্যের রোডমার্চ কর্মসূচির উদ্বোধন কালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “বাংলাদেশের জনগণ এখন ভোট দিয়ে তাদের নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে না।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “রংপুরের কৃষক নেতা নূরলদীন বাংলাদেশের মানুষকে ব্রিটিশ শাসনামলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। আজ তরুণ সমাজ সেই রংপুর থেকে কতৃত্ববাদ রুখে দেয়ার ডাক দিচ্ছে।” তিনি বলেন, “নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে, রংপুর থেকে শুরু হওয়া রোডমার্চ কর্মসূচি, সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত চলবে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের দাবি পরিষ্কার; পদত্যাগ করুন, আপনাকে (শেখ হাসিনা) দেশের মানুষ আর দেখতে চায় না। আপনি সংসদ বিলুপ্ত করুন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন; আর, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। সেই নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করবে। জনগণ অংশগ্রহণ করবে, যাকে খুশি তাকে ভোট দিয়ে নতুন পার্লামেন্ট গঠন করবে।”
তিনি আরো বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ এখন ভোট দিয়ে তাদের নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে না। দ্রব্যমূল্য নিয়ে মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। চাল, ডাল, লবণ, তেল, বিদ্যুতের দামসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। বিদ্যুৎ পায় না তারা। দুর্নীতি করে সব কিছু বিদেশে পাচার করে দেয়া হচ্ছে। দেখবেন, রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। রিজার্ভ তো তারা লুট করছে।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “এই তরুণরা বাংলাদেশের সূর্য সন্তান; কিন্তু তাদের চাকরি নেই। তরুণরা ব্যবসা-বাণিজ্য করতে গেলে বিএনপির নাম-গন্ধ থাকলেও সেটা করতে পারে না। “
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, “শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতেও হাসপাতালে বেগম জিয়াকে দেখতে গিয়েছিলাম। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। সেখানে চিকিৎসকরা সবাই (মেডিকেল বোর্ড) এসছিলেন। তারা খুব চিন্তিত। তিনি (খালেদা জিয়া) বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই সরকারের কাছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে এবং আমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাকে বিদেশে চিকিৎসা করার জন্য। তাকে সে সুযোগ দেয়া হচ্ছে না।”
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, “এক-এগারোতে এই প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) বন্দী ছিলেন। প্যারোলে তিনি বিদেশে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন। সেই তিনিই বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছেন না।”