যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের (এফসিডিও) পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি স্যার ফিলিপ বার্টন কক্সবাজার ও ভাসানচরে আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায়, নতুন করে তিন লাখ পাউন্ড (প্রায় ৪২ কোটি টাকা) সহায়তা ঘোষণা করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, “আমরা রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য চাপ অব্যাহত রাখছি।”
যুক্তরাজ্য সরকারের এই নতুন সহায়তা জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) মাধ্যমে দেয়া হবে। স্যার ফিলিপ বার্টন এখন বাংলাদেশ সফর করছেন।
যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের (এফসিডিও) পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি স্যার ফিলিপ বার্টন বলেন, “আমি ইউএনএইচসিআর-এর মাধ্যমে যুক্তরাজ্য সরকারের আরো তিন লাখ পাউন্ড সহায়তা ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত।”
তিনি বলেন, “নতুন এই সহায়তা, কক্সবাজার ও ভাসানচরে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা, বিশুদ্ধ পানি, স্বাস্থ্যবিধি, স্যানিটেশন পরিষেবা এবং রান্না করার জন্য জ্বালানি নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।”স্যার ফিলিপ বার্টন আরো বলেন, “২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার পর, তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। এর পর, ছয় বছর অতিবাহিত হয়েছে। যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী, বাংলাদেশ ও এই সংকট দ্বারা আক্রান্ত সকলের পাশে আছে।”
যুক্তরাজ্যের পার্মানেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি বলেন, “আমরা দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য চাপ অব্যাহত রাখছি। যাতে করে শরণার্থীরা নিরাপদে, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদার সঙ্গে মিয়ানমারে ফিরে যেতে পারে; যখন সেখানকার অবস্থা তাদের জন্য অনুকূলে থাকে। যতদিন তা না হয়, যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বাংলাদেশের স্থানীয় সম্প্রদায়কে সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
উলেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা ও স্থানীয় সম্প্রদায়কে সহায়তা করার জন্য ৩৬ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড (৫ হাজার কোটি টাকার বেশি) অর্থ প্রদান করেছে। এ সহায়তা, বোহিঙ্গা ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের খাদ্য, আশ্রয়, নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন, স্বাস্থাসেবা ও সুরক্ষা পরিষেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অবদান রেখেছে।