বাংলাদেশের সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ইন্দোনেশিয়ার সহায়তা চেয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। জাকার্তায় ইন্দোনেশিয়ার সামুদ্রিক ও মৎস্যবিষয়ক মন্ত্রী শক্তি ওয়াহিউ ট্রেংগনোর সঙ্গে বৈঠককালে এই সহায়তা চান আব্দুল মোমেন।
জাকার্তায় আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে তারা এই বৈঠক করেন।
বৈঠকে সমুদ্র বিজ্ঞান ও সামুদ্রিক জৈবপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে যৌথ সহযোগিতাসহ নীল অর্থনীতি থেকে সর্বোচ্চ পারস্পরিক সুবিধা অর্জনে বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহায়তা ও সহযোগিতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন মন্ত্রী ট্রেংগনো।
দুই মন্ত্রী সামুদ্রিক সংস্কৃতি, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা, দীর্ঘ লাইনে মাছ ধরা এবং সামুদ্রিক শৈবাল সংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয়ে প্রযুক্তি এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান বিনিময়ের ওপর জোর দেন।
তারা সামদ্রিক মাছ চাষ এবং টুনা মাছ ধরার ক্ষেত্রে দক্ষতা ও সর্বোত্তম অনুশীলনগুলো বিনিময়ের কর্মসূচি শুরু করতে সম্মত হয়েছেন।
বাংলাদেশের জলসীমায় সামুদ্রিক সম্পদের অবৈধ শোষণ, জলদস্যুতা এবং সামুদ্রিক পরিবেশ দূষণের মতো ঐতিহ্যবাহী ও অপ্রচলিত নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে ইন্দোনেশিয়া।
দুই মন্ত্রীই স্বীকার করেছেন যে, অবৈধ, গোপনে এবং অনিয়ন্ত্রিত মাছ ধরা (আইইউইউ) হলো এমন কয়েকটি কারণের মধ্যে একটি, যা শুধুমাত্র একটি দেশের অর্থনীতিতে নয়, একটি অঞ্চলের সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের উপরও মারাত্মক পরিণতি ঘটায়।
বৈঠকে আব্দুল মোমেন খাদ্য নিরাপত্তাসহ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন।
তারা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দুর্যোগ মোকাবিলায় সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
আব্দুল মোমেন স্যাটেলাইটের মাধ্যমে একটি রিয়েল-টাইম ভেসেল ট্র্যাকিং সিস্টেমসহ উন্নত প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্যগুলো অর্জনে ইন্দোনেশিয়ার সহায়তাও চান।
বৈঠকে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স বিভাগের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (জাতিসংঘ) মো. এমদাদুল ইসলাম চৌধুরী। এ ছাড়া বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু এইচ সুবোলো তার সঙ্গে ছিলেন। ট্রেংগনোর সঙ্গে সে দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।