যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে ‘ব্যাপক নিরাপত্তা সম্পর্কের’ অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের নবম বার্ষিক দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা সংলাপ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন ব্যুরো অফ পলিটিক্যাল-মিলিটারি অ্যাফেয়ার্স এর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মিরা রেজনিক। সংলাপে যোগ দিতে তিনি সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় পৌঁছেছেন।
নিরাপত্তা সংলাপ হলো একটি বার্ষিক, বেসামরিক নেতৃত্বাধীন আলোচনা; যা দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা সম্পর্কের সকল উপাদানকে স্পর্শ করে। রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, উভয় পক্ষের প্রতিনিধিগণ, ইন্দো-প্যাসিফিক আঞ্চলিক সমস্যা, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার, সামরিক সহযোগিতা, শান্তিরক্ষা, নিরাপত্তা সহায়তা এবং সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের বিষয়ে আলোচনা করবেন।
দূতাবাস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব রয়েছে; এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে অনেক অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। আর, স্বাধীন, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল রক্ষা এবং এর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে উভয় দেশই অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, “এই পারস্পরিক উদ্দেশ্যগুলো অনুসরণ করার জন্য আমরা সারা বছর ধরে বিভিন্ন ধরণের সংলাপ করি। চলতি বছরের নিরাপত্তা সংলাপটি, গত ২৩ এবং ২৪ আগস্ট ঢাকায় অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সংলাপকে ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করে।”
মিরা রেজনিক, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং অস্ত্র স্থানান্তরের ব্যুরো অফিস-এর তত্ত্বাবধান করেন। তার দপ্তরের আওতায় রয়েছে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রয়, তৃতীয় পক্ষের কাছে স্থানান্তর এবং অতিরিক্ত প্রতিরক্ষা আইনের মাধ্যমে সরকার থেকে সরকারি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম স্থানান্তর। রেজনিক নিরাপত্তা সহায়তা ব্যুরো অফিসের জন্যও দায়িত্বপ্রাপ্ত।
নিরাপত্তা সংলাপে, কৌশলগত অগ্রাধিকার এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যু, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, বেসামরিক নিরাপত্তা সহযোগিতা, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা, সন্ত্রাস দমন এবং সহিংস চরমপন্থা মোকাবেলাসহ দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব সম্পর্কিত বিস্তারিত বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর আগে, গত বছরের এপ্রিলে, যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরে দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় নিরাপত্তা সংলাপ।