পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় বাংলাদেশের সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেলসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
অভিযোগ গঠনের ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
মামলার বাকি অভিযুক্তরা হলেন—বিএনপির কর্মী আব্দুস সাত্তার, শাহ আলম, আনোয়ার হোসেন টিপু ও আলফাস ওরফে আব্বাস।
বৃহস্পতিবার (৩১ অগাস্ট) ঢাকার অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক বিলকিস আক্তার অভিযুক্তদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠন করেন।
রুহুল কবির রিজভীর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের টানা ১২তম দিনের অবরোধ চলাকালে রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকার সেগুনবাগিচায় মৎস্য ভবন এলাকায় ৩০–৪০ জন পুলিশ সদস্যবাহী একটি বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় এএসআই আবুল কালাম আজাদ, কনস্টেবল শামীম, শিপন, মোরশেদ ও বক্তিয়ারসহ পুলিশের ১৩ সদস্য আহত হন। পরে কনস্টেবল শামীম ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা যান।
পরদিন ১৮ জানুয়ারি উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকার রমনা মডেল থানায় মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. আলী আক্কাছ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন টিপু ছাত্রদলের ঢাকা কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি ছিলেন। টিপু বিএনপির নিউমার্কেট থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক হওয়ার জন্য ২০ দলীয় জোটের অবরোধ বেগবান করতে দলের হাইকমান্ডের সুনজরে থাকতে নাশকতার পরিকল্পনা করেন।
পাশাপাশি অভিযুক্ত মোহাম্মদ হোসেন বিএনপির নিউমার্কেট থানার ১৮ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সভাপতি এবং অভিযুক্ত সাত্তার নিউমার্কেট থানা শাথার সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ার জন্য এ নাশকতার সঙ্গে জড়িত হন।