বাংলাদেশের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, “সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ এর খসড়া চূড়ান্ত করার আগে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে অবশ্যই অংশীজনদের মতামত নেয়া হবে।” মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, “সোমবার (২৮ আগস্ট) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিবর্তে সাইবার নিরাপত্তা আইনটি মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে। আগের মামলাগুলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুসারেই চলবে, সাইবার নিরাপত্তা আইনের মধ্যে এ কথাটা উল্লেখ আছে।”
আনিসুল হক বলেন, “ আগামী ৩ সেপ্টেম্বর সংসদ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। আইনটি যাতে সংসদে যেতে পারে সেজন্য এর খসড়ায় সোমবার মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন নেয়া হয়েছে। সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে অবশ্যই অংশীজনদের ডেকে আলাপ-আলোচনা করা হবে। এবিষয়ে আপনারা আমাদের কাছ থেকে জানতে পারবেন।”
আগে দায়ের করা মামলাগুলো আগের আইনে নিষ্পত্তির কথা সাইবার নিরাপত্তা আইনে বলা হয়েছে। তবে সরকার আগের মামলায় নতুন আইনের কম শাস্তি নিশ্চিত করার চিন্তা-ভাবনা করছে বলে জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমাদের সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদে পরিষ্কারভাবে লিখা আছে; অপরাধ করার সময় যে আইন বলবৎ ছিলো সে আইনেই বিচারকার্য হবে এবং সে আইনে যে সাজা ছিলো, সেই সাজাই দিতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “৩৫ অনুচ্ছেদে একটা কথা আছে, নতুন আইনে যদি সাজা অধিক হয়, তাহলে সে সাজা দেয়া যাবে না। পুরানো আইনে অর্থাৎ যে আইনে সে অপরাধ করেছে অথবা অপরাধ করার সময় যে আইন বলবৎ ছিলো, সে আইনে যে সাজা আছে, তাই দিতে হবে।”
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, “কোনো ভিন্নতর সাজা দেয়া যাবে না। বিষয়টি নিয়ে আমরা অনেক চিন্তা-ভাবনা করেছি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আমরা যদি ২১ ধারা ধরি। এ ধারায়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১০ বছর সাজা। নতুন আইনে অর্থাৎ সাইবার নিরাপত্তা আইনে বলা হচ্ছে পাঁচ বছর। তাহলে বিজ্ঞ আদালত; এ আইন পাস হওয়ার আগে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বলবৎ থাকার সময় যে অপরাধ হয়েছে; তিনি সংবিধান মতে ১০ বছর সাজা দিতে পারেন।”
তিনি বলেন, “আমরা, এমন পরিস্থিতিতে, যাতে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিছু না হয়, এমন একটা ব্যবস্থা করতে চাচ্ছি।”