অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জাপানের নিরাপত্তা সহায়তা কর্মসূচিতে সহায়তার তালিকায় থাকছে বাংলাদেশ


শনিবার (২৬ আগস্ট) ঢাকায় অবস্থিত জপাপানের দূতাবাসে এক আলোচনা সভায় বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
শনিবার (২৬ আগস্ট) ঢাকায় অবস্থিত জপাপানের দূতাবাসে এক আলোচনা সভায় বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।

জাপান তাদের নতুন অফিসিয়াল সিকিউরিটি অ্যাসিসটেন্স (ওএসএ) কর্মসূচির সুবিধাভোগী চারটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছে। শনিবার (২৬ আগস্ট) ঢাকায় অবস্থিত জপাপানের দূতাবাসে এক আলোচনা সভায় বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি একথা জানান। তিনি বলেন, “এ থেকে বোঝা যায় জাপান বাংলাদেশকে কতটা গুরুত্ব দেয়।”

জাপানের এই কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত অন্য তিনটি দেশ হলো; ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া ও ফিজি। এ লক্ষ্যে জাপান ও বাংলাদেশ তাদের নিজ নিজ দূতাবাসে প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে নিয়োগের বিষয়ে সম্মত হয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের সময়ও এ বিষয়ে আলোচনা হয়।

উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে 'অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্স (ওডিএ) কর্মসূচি রয়েছে জাপানের। এই বাইরে, জাপান সশস্ত্র বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার সুবিধার্থে উপকরণ ও সরঞ্জাম সরবরাহ করে।

এই ধারাবাহিকতায়, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর নিরাপত্তা চাহিদার ভিত্তিতে অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে একটি নতুন সহযোগিতা কাঠামো 'অফিসিয়াল সিকিউরিটি অ্যাসিসটেন্স (ওএসএ)' প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান।

জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুসারে, ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশটির মন্ত্রিসভা কর্তৃক অনুমোদিত নতুন ‘জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলে’ ওএসএ উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে, বাংলাদেশ ও জাপান শিগগিরই প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিষয়ে একটি চুক্তি সই করতে পারে।

জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, “আমরা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি হস্তান্তর সম্পর্কিত একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছি। আমরা এই মুহূর্তে বিস্তারিত প্রকাশ করতে পারবো না। তবে, আলোচনা ইতিবাচকভাবে চলছে।”

জাপান-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৪০০ কোটি ডলার। দেশটি ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশকে সর্বাধিক বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তা (২৪৭২ কোটি ডলার) প্রদান করেছে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, “জাপান বাংলাদেশের সব সময়ের বন্ধু এবং দু'দেশকেই একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। জাপানের একটি বিশাল জনশক্তির প্রয়োজন হবে এবং বাংলাদেশ এই ধরনের জনশক্তি সরবরাহ করতে পারে। তথ্য প্রযুক্তির জন্য জাপান বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল বাজার এবং বাংলাদেশি দক্ষ কর্মীদের জন্য একটি প্রধান গন্তব্য হতে পারে।”

XS
SM
MD
LG