যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে. ব্লিংকেন বলেছেন, “মিয়ানমারের সব মানুষের জন্য ন্যায়বিচার ও জবাবদিহি এগিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার ৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।
ব্লিংকেন বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের জনগণের ‘গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ' ভবিষ্যতের আকাঙ্ক্ষায়, তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ অব্যাহত রাখবে।” তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারে অবস্থানরত ভুক্তভোগী ও নিগ্রহ থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষের পাশে রয়েছে।”
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দ্বারা সংঘটিত নৃশংসতার জন্য ন্যায়বিচার ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন ব্লিংকেন। তিনি বলেন, “ অন্তত ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ার জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রতি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ; পাশাপাশি এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিচ্ছে।”
যুক্তরাষ্ট্র ২০১৭ সাল থেকে মিয়ানমার, বাংলাদেশ এবং এই অঞ্চলের অন্যত্র সংকটে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ২১০ কোটি ডলারের বেশি সহায়তা প্রদান করেছে। এ সহায়তা, সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জীবন রক্ষাকারী মানবিক সাহায্যের মধ্যে, বৃহত্তম একক সহায়তা কার্যক্রম।
মিয়ানমার জুড়ে সহিংসতা বৃদ্ধি পাওয়ায়, ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গাসহ জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের পরিস্থিতি সবচেয়ে নাজুক।
পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুসারে, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে, চলমান সহিংসতার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী ব্যক্তি ও সত্ত্বার ওপর নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।