অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

নারী ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইতিহাস গড়লো স্পেন


সিডনি স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড নারী বিশ্বকাপ ফাইনাল ফুটবল ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জেতার পর ট্রফি নিয়ে জয় উদযাপন করছেন স্পেনের খেলোয়াররা;২০ আগস্ট ২০২৩।
সিডনি স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড নারী বিশ্বকাপ ফাইনাল ফুটবল ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জেতার পর ট্রফি নিয়ে জয় উদযাপন করছেন স্পেনের খেলোয়াররা;২০ আগস্ট ২০২৩।

ওলগা কারমোনার প্রথমার্ধের গোলে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে, প্রথমবারের মতো নারী ফুটবল বিশ্বকাপের শিরোপা জিতলো স্পেন। খেলোয়াড়দের বিদ্রোহের এক বছরের কম সময়ের মধ্যে, স্পেন এই গৌরব অর্জন করলো।

এই জয়ের মধ্যে দিয়ে, লা রোজা প্রথম দল হিসেবে অনূর্ধ্ব-১৭, অনূর্ধ্ব-২০ ও সিনিয়র বিশ্ব শিরোপা অর্জন করে। নয়টি নারী বিশ্বকাপের মধ্যে স্পেন পঞ্চম বিজয়ী দল। এই শিরোপা অর্জনের মধ্য দিয়ে পুরুষ ও নারী, উভয় টুর্নামেন্টের শিরোপা জয়ী দেশ হিসেবে জার্মানির নামের সাথে স্পেনের নাম যুক্ত হলো। এই দুটি দেশই নারী ও পুরুষ উভয় বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করেছে।

শেষ বাঁশি বাজলে, স্প্যানিশ খেলোয়াড়রা তাদের গোলপোষ্টের সামনে একে অপরের ওপর লাফিয়ে পড়ে। আর, ট্রফি হাতে পাওয়ার আগ পর্যন্ত মাঠ জুড়ে তাদের উল্লাস চলতে থাকে।

খেলার ২৯ মিনিটে, কারমোনার বাঁ পায়ের লক্ষ্যভেদী শট, বিপক্ষ দলের গোলরক্ষক মেরি ইয়ার্পসের নাগালের বাইরে দিয়ে জালে জড়ায়। ঝাঁপিয়ে পড়েও, গোল রক্ষায় ব্যর্থ হন মেরি।উদযাপনের জন্য তিনি জার্সি উঁচিয়ে, "মের্চি" লেখা ভেতরে পরার জামা প্রদর্শন করেন। এটা দৃশ্যত তার আগের প্রতিষ্ঠানের প্রতি সম্মান জানানো।

সুইডেনের বিপক্ষে সেমিফাইনাালে, ৮৯ তম মিনিটে গোল করে ২-১ গোলে স্পেনের জয় এনে দেন কারমোনা। ২০১৫ সালে কার্লি লয়েডের পর, তিনিই হলেন প্রথম খেলোয়াড়, যিনি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ও ফাইনালে গোল করতে সক্ষম হয়েছেন।

গত বছর খেলোয়াড়দের প্রায় বিদ্রোহ ঘোষণা সত্ত্বেও, স্পেনের ঘরে এই জয় আসে। ১৫ জন খেলোয়াড়, মানসিক স্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ করে জাতীয় দল ছেড়ে যান। তারা খেলার জন্য আরো পেশাদার পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানান। এদের মধ্যে তিন জন ফেডারেশনের সঙ্গে সমঝোতা করেন এবং আবার দলে যোগ দেন; এর পর বিশ্বকাপে খেলতে আসেন। এই তিন খেলোয়ড় হলেন; ওনা বাটলে, আইতানা বোনমাতি এবং মেরিওনা ক্যালডেন।

গত গ্রীষ্মে, ঘরের মাঠে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পর, এই টুর্নামেন্ট খেলার জন্য গতি অর্জন করে ইংল্যান্ড। তবে, দলের সেরা তিন খেলোয়াড়, অধিনায়ক লেহ উইলিয়ামসন, ফ্রান কিরবি ও বেথ মিড হাঁটুর ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে ছিটকে পড়েন।

ইংল্যান্ডের কোচ সারিনা উইগম্যান হলেন প্রথম কোচ, যিনি পর পর দুইবার তার দলকে বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টে নিয়ে যান। ২০১৯ সালে তিনি নেদারর‌্যান্ডস-কে বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেন। ঐ সময় তার দল যুক্তরাষ্ট্রর কাছে ২-০ গোলে হেরে যায়। এবার চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচে তিনি ০-২ স্কোরে দাঁড়িয়ে আছেন।

সেমিফাইনালে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয়লাভ করে ইংল্যান্ড। শেষ খেলায়, ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ভালো সুযোগ ছিলো ১৬ মিনিটে; তবে, তখন লরেল হেম্প-এর প্রচণ্ড শট থেকে বল চলে যায় ক্রসবারের বাইরে। এর এক মিনিট পর, গোলপোষ্টের দিকে এগিয়ে গেলেও, কোনো ক্লিনশট নিতে পারেননি। আর আলবা রেডনডোর গোলের উদ্যোগ জালের সামনে থামিয়ে দেন ইরাপস।

XS
SM
MD
LG