ভারতের রাজধানী দিল্লি তথা সারা দেশের মধ্যেই অন্যতম দর্শনীয় স্মৃতিস্তম্ভ কুতুব মিনার। সুলতানি জমানায় তৈরি বিশালাকার এই মিনার এবার আলোর খেলায় হয়ে উঠেছে যেন এক ক্যানভাস। ঘড়ির কাঁটায় ঠিক রাত ৮.১৫ বাজলেই, ভারতের বিভিন্ন গ্রামের চিত্র ফুটে উঠছে আইকনিক এই মিনারের গায়ে । লাল-কমলা-গেরুয়া-সবুজ-হলুদের ছটায় সেজে উঠছে কুতুব।
ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রকের ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর অংশ হিসেবে ‘মেরা গাঁও মেরি ধরোহর’ উদ্যোগ চালু করা হয়েছিল। তার অধীনেই প্রতিদিন ১০ মিনিটের লাইট শোতে দেশের বাছাই করা ২১টি গ্রামের ছবি আলোকসজ্জার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে কুতুব মিনারের গায়ে। সংবাদ সূত্রের খবর, দেশ জুড়ে সাড়ে ৬ লক্ষ গ্রামের সংস্কৃতি তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ২ লক্ষ গ্রামের কথা ইতিমধ্যেই বলা হয়ে গেছে।
এই প্রজেক্টে সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে এক বেসরকারি প্রযুক্তি সংস্থা। এই শোটি আসলে প্রযুক্তি, শিল্প এবং ইতিহাসের একটি সংমিশ্রণ যা দর্শকদের কাছে অতীত এবং বর্তমানের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করছে। বেসরকারি প্রযুক্তি সংস্থাটির মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক সৌরভ ভাইক জানিয়েছেন, "১০ মিনিটের ছোট্ট শোয়ের মাধ্যমে ভারতীয় গ্রামের গল্প আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে দর্শকদের কাছে। কয়েক মিনিটের জন্য স্মৃতিস্তম্ভটি সম্পূর্ণ অন্ধকারে ঢেকে যায়। তারপর আস্তে আস্তে আলোকিত হয়ে ওঠে। সেই আলোর স্রোত উঠে যায় মিনারের একেবারে শীর্ষে। ওই ১০ মিনিট মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে বসে থাকেন দর্শকরা।"
এই শোয়ের জন্য কুতুব মিনারকে নির্বাচন করার পিছনে কৌশলগত কারণ রয়েছে। আসলে আগামী পাঁচ বছর ধরে স্থায়ীভাবে চলবে এই শো। তাই তার জন্য এমন একটি জায়গা নির্বাচন করা প্রয়োজন ছিল যেটা শুধুমাত্র দর্শকদের আনন্দ দেবে তা-ই নয়, সেই সঙ্গে যত বেশি সম্ভব মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে
সৌরভ জানিয়েছেন, এই লাইট শোতে প্রত্যেকটি গ্রামের কিছু অনন্য এবং আকর্ষণীয় জিনিস তুলে ধরা হচ্ছে যা ভারতের বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্যের অংশ। অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু এমনভাবে সেট করা হয়েছে যা সময়ের সঙ্গে খাপ খেতে খেতে আরও উন্নত হবে ক্রমশ।।