অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ব্রিকসে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি নির্ভর করছে সদস্য দেশগুলোর ওপর—পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন


দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ব্রিকস পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে ফটোর জন্য পোজ দিচ্ছেন ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। ১ জুন, ২০২৩। (ফাইল ছবি)
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ব্রিকস পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে ফটোর জন্য পোজ দিচ্ছেন ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। ১ জুন, ২০২৩। (ফাইল ছবি)

ব্রিকস সম্প্রসারণ ও এই গ্রুপে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তটি সদস্য দেশ ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

বুধবার (১৬ অগাস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ ব্রিকসের সদস্য হবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এটা তাদের ওপর নির্ভর করে। এটা তাদের আলোচনার বিষয়। আমাদের ওপর নির্ভর করে না”।

আব্দুল মোমেন বলেন, আফ্রিকা একটি উদীয়মান রাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ ওই অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে আরও শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়।

তিনি বলেন, “আফ্রিকান দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ততটা শক্তিশালী নয়। আমরা সেখানে দুটি মিশন খুলেছি। প্রধানমন্ত্রী তাদের নির্দেশনা দেবেন (বৃহত্তর প্রচেষ্টা করার জন্য)”।

উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে ভারত সরকোরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছিলেন, গত বছর সংশ্লিষ্ট নেতাদের মাধ্যমে বাধ্যতামূলকভাবে ব্রিকস সদস্যরা অভ্যন্তরীণভাবে গ্রুপের সম্প্রসারণের পদ্ধতি, নির্দেশিকা নীতি, বৈশিষ্ট্য ও মানদণ্ড নিয়ে আলোচনা ও পরামর্শ করেছে এবং সম্পূর্ণ একমত হয়েছে।

৩ অগাস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, “আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যেমন উল্লেখ করেছেন, আমরা খোলা মন এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি। আমরা কিছু ভিত্তিহীন গুঞ্জন শুনেছি, আর তা হলো সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে ভারতের আপত্তি রয়েছে। এটি একেবারেই অসত্য”।

চীন বলেছে, ব্রিকসের সম্প্রসারণে গ্রুপের পাঁচ সদস্যকে রাজনৈতিকভাবে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং ব্রিকসে যোগদানের বিষয়ে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে মন্তব্য করে বলেছেন, “চীন ব্রিকস সম্প্রসারণকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ব্রিকসের বড় পরিবারে আরও সমমনা অংশীদার আনতে প্রস্তুত”।

এর আগে ১৯ জুন এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রুপ ব্রিকসে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদানের আমন্ত্রণ জানালে বাংলাদেশ স্বাগত জানাবে।

সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “তারা আমাদের আমন্ত্রণ জানালে আমরা অবশ্যই যোগ দেব। আমরা এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি পাইনি (যোগদানের আমন্ত্রণ জানিয়ে)। ব্রিকস নেতারা কিছু উদীয়মান অর্থনীতির দেশ নেওয়ার কথা ভাবছেন। এর মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশসহ প্রায় ৮টি নতুন দেশ”।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২২ থেকে ২৪ অগাস্ট দক্ষিণ আফ্রিকায় হতে যাওয়া ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

কোভিড-১৯ মহামারির পর এটিই হবে সশরীরে আয়োজিত প্রথম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন।

XS
SM
MD
LG