আদালতের নির্দেশে ভারতের উত্তর প্রদেশে বারাণসীতে জ্ঞানবাপী মসজিদে ইতিমধ্যেই সমীক্ষার কাজ শুরু করে দিয়েছে পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ। শনিবার ৫ অগাস্ট ৪১ জন বিজ্ঞানীর একটি দল প্রায় সাড়ে সাত ঘন্টা ধরে মসজিদ চত্বরের দেওয়াল, স্তম্ভ, গম্বুজ, এবং ভূগর্ভস্থ অংশগুলি পরীক্ষা করে দেখেন। সংবাদ সূত্রের খবর তাতে না কি একটি ৪ ফুট উচ্চতার প্রতিমা, ২ ফুট লম্বা ত্রিশূল এবং ৫টি কলস পাওয়া গেছে।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিতর্কিত জ্ঞানবাপী মসজিদে শুরু হয়েছিল সমীক্ষার কাজ। পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ ছাড়াও আইআইটি-র বিশেষজ্ঞরাও ছিলেন সেখানে। সেই সমীক্ষায় মসজিদের দেওয়ালগুলিতে খোদাই করা ত্রিশূল, ঘণ্টা, স্বস্তিক চিহ্ন এবং ফুলের প্রতীকের খোঁজ মিলেছে। এই সমস্ত কিছুরই ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। নিদর্শনগুলির নকশা, নির্মাণশৈলী খুঁটিয়ে দেখেছেন বিশেষজ্ঞরা। মসজিদের ভিতরে বিভিন্ন অংশের উচ্চতা এবং গভীরতা পরিমাপ করা হয়েছে। ভূগর্ভস্থ অংশগুলিও খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে। সেই সমস্ত কিছুরই নোট নিয়েছেন এএসআই-এর বিশেষজ্ঞরা।
এদিন কোনভাবেই যাতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে কড়া প্রহরার ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী চার সপ্তাহের মধ্যেই জরিপ এবং সমীক্ষার কাজ শেষ করতে হবে পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণকে। সেই সমীক্ষার রিপোর্টও জমা দিতে হবে আদালতে। মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ২ সেপ্টেম্বর।
প্রসঙ্গত, হিন্দুপক্ষের দাবি, কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একাংশ ভেঙে ঔরঙ্গজেব জ্ঞানবাপী মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। মসজিদ চত্বরে তার প্রমাণ আজও আছে। মসজিদ লাগোয়া দেওয়ালে খোদাই করা রয়েছে হিন্দু দেব-দেবীর মুখ। আদালতের নির্দেশে হওয়া আগের জরিপের সময় একটি পাথর খণ্ড উদ্ধার হয়। হিন্দুপক্ষের দাবি সেটি একটি শিবলিঙ্গ।