আগামী নভেম্বরে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এসময় বাংলাদেশ আঞ্চলিক গ্রুপিংয়ের সভাপতিত্ব করবে। বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণের সময় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদল থাইল্যান্ড সফর করবে।
রবিবার (৬ আগস্ট) বাংলাদেশ-থাই চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিটিসিসিআই)-এর নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ দেখা করতে এলে, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিআইডিএ) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া একথা জানান।
বিআইডিএ নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, “থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা, বিদেশি বিনিয়োগবান্ধব নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ পেতে পারেন। কারণ, দুই দেশের মধ্যে একই রকম পরিবেশগত ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে।”
থাইল্যান্ডের এই অনুষ্ঠান সফল করতে বিআইডিএ এর কাছ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা ও সহায়তা কামনা করেছে বিটিসিসিআই। বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ; বিশেষ করে কর অব্যাহতি সুবিধা, প্রণোদনা, বাংলাদেশে বিদেশি কোম্পানিতে কর্মরত বিদেশি বিশেষজ্ঞদের বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করার জন্য নির্বাহী চেয়ারম্যান-কে অনুরোধ করেছে তারা।
বিআইডিএ নির্বাহী চেয়ারম্যান, বিটিসিসিআইয়ের প্রস্তাবে সমর্থন দেয়ার আশ্বাস দেন। তিনি কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, পর্যটন ও আতিথেয়তা ব্যবস্থাপনা, পাট ও পাটজাত পণ্য, মৎস্য, ওষুধ এবং আরো কিছু খাতে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের যৌথ উদ্যোগের ওপর জোর দেন।
বিটিসিসিআইয়ের সভাপতি শামস মাহমুদ সংগঠনটির নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদকে নির্বাহী চেয়ারম্যান ও এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিটিসিসিআই-এর পরিকল্পনার বিষয়ে কর্মকর্তাদের অবহিত করেন।
বিটিসিসিআই সভাপতি, বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে বিভিন্ন পণ্য, যেমন ফার্মাসিউটিক্যালস, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া, আরএমজি ও সিরামিকস পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশে শ্রম নিবিড় শিল্প স্থানান্তরের ওপর জোর দেন।
বিআইডিএ নির্বাহী চেয়ারম্যান বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য এগিয়ে আসার জন্য পরিচালনা পর্ষদকে ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক সম্পর্ক বাড়াতে কাজ করার জন্য বিটিসিসিআই-এর প্রশংসা করেন।