ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে গত দু'দিন ধরে পার্শ্ববর্তী রাজ্য হরিয়াণায় চলা মারাত্মক সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের আঁচ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ রাজধানীর ২৩ জায়গায় জমায়েতের ডাক দিয়েছে। পরিস্থিতি যে কোনও সময় হাতের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে রাজ্য প্রশাসন।
এই মর্মে দায়ের হওয়া মামলায় বুধবার ২ জুলাই দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ নিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের প্রবীণ আইনজীবী সিইউ সিং বুধবার এই আর্জি নিয়ে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের দ্বারস্থ হলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে হস্তক্ষেপ করেন। প্রবীণ আইনজীবীকে বলেন, "আপনি এখনই কাগজপত্র জমা দিন। আমরা দ্রুত উপযুক্ত নির্দেশ জারি করব।" সেই সঙ্গে প্রধান বিচারপতি দুই বিচারপতির একটি বেঞ্চকে বাকি মামলার শুনানি থামিয়ে দিল্লি নিয়ে মামলাটি শোনার নির্দেশ দেন।
বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি এসবিএন ভাটির বেঞ্চ বলে, যে কোনও মূল্যে ঘৃণা ভাষণ আটকাতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে প্রশাসন রাজধানীতে ১৪৪ ধারা জারি এবং আধা সেনা মোতায়েন করতে পারে। ঘৃণা ভাষণ আটকাতে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে। সভা সমাবেশের ভিডিওগ্রাফিও করতে হবে।
শুধু দিল্লি নয়, হরিয়াণা এবং উত্তর প্রদেশ সরকারকেও একই নির্দেশ দিয়ে নোটিস পাঠিয়েছে ভারতের শীর্ষ আদালত। তবে মামলাকারীর আবেদন মেনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সভা বাতিল এবং ওই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার আর্জি মানেনি আদালত। দুই বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, "শুধু শান্তি রক্ষা এবং ঘৃণা ভাষণ আটকাতে আদালতের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হল।"
হরিয়াণার নুহতে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ছয় জন নিহত হয়েছেন। নুহ-র ঘটনার প্রতিবাদে রাজধানী দিল্লিতে বুধবার প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।