অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

লক্ষ্য ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন, দলকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ শুধু রামমন্দির নয়, জোর স্থানীয় ইস্যুতে


লক্ষ্য ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন, দলকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ শুধু রামমন্দির নয়, জোর স্থানীয় ইস্যুতে
লক্ষ্য ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন, দলকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ শুধু রামমন্দির নয়, জোর স্থানীয় ইস্যুতে

ভারতের সংসদে বিজেপি ও আরও ৩৭টি দল নিয়ে লোকসভায় এনডিএ জোটের সাংসদ সংখ্যা এখন ৩৩০। লোকসভা ভোটের কৌশল নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ৩৩০ জন সাংসদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এজন্য মোট ১১টি বৈঠকের আয়োজন করছে বিজেপি।

প্রথম সভাটি ইতিমধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়েছে সোমবার ৩১ জুলাই, রাজধানী দিল্লির মহারাষ্ট্র ভবনে। সেখানে শুধু উত্তর প্রদেশের সাসংদেরা উপস্থিত ছিলেন। দেশের বৃহত্তম ওই রাজ্য থেকেই বিজেপির সাংসদ সবচেয়ে বেশি। তাৎপর্যপূর্ণ হল, সাংসদদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কট্টর সমালোচক বরুণ গান্ধীও। অন্য নেতাদের মধ্যে সভাপতি জেপি নাড্ডা, প্রবীণ দুই মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং নীতিন গডকড়ি উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সূত্রের খবর, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জেতার বিষয়ে উপস্থিত সাংসদদের স্পষ্ট বলেছেন, "শুধু রামমন্দিরের ভরসায় থাকবেন না। স্থানীয় ইস্যুর উপরও জোর দিন।"

প্রধানমন্ত্রীর মুখে রামমন্দির নিয়ে এমন কথা আগে শোনা যায়নি। পূর্ব ঘোষণা মতো লোকসভা ভোটের মুখে জানুয়ারির গোড়ায় অযোধ্যায় নতুন রাম মন্দিরের উদ্ধোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেই মতো সেখানে দিবারাত্র কাজ চলছে। ২০২০-এর ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী মন্দিরের শিলান্যাস করেছিলেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

বিজেপির রাজনীতির অন্যতম ইস্যুই হল রামমন্দির। আদালত মন্দির-মসজিদ মামলার নিষ্পত্তি করে দেওয়ায় দ্রুত মন্দির নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, মোদী অত্যন্ত ভাবনাচিন্তা করেই রাম মন্দিরের উপর পুরোপুরি ভরসা না করার পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ, এনডিএ জোটের অনেক শরিক দলই মন্দির নিয়ে মাতামাতি পছন্দ করবে না। বস্তুত, এনডিএ-র নতুন শরিকদের কথা বিবেচনায় রেখে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল নিয়েও ধীরে চলো নীতি নিয়েছে বিজেপি। কারণ, উত্তর-পূর্বের একাধিক শরিক দলের আপত্তি আছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে। একইভাবে আপত্তি উঠেছে আদিবাসী সমাজ থেকেও।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী বাস্তব পরিস্থিতি বিচার করেই শুধু রামমন্দিরের কথা না বলে উন্নয়নের বিনিময়ে ভোট চাইবার কথা বলছেন সাংসদদের। তিনি জানেন, দু-দফায় সরকার চালানোর পর বিজেপির পক্ষে আর ধর্মের নামে নির্বাচনে জেতা সম্ভব নয়, কর্নাটকের ভোটে তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। তিনি বুঝে গিয়েছেন, মানুষ এবার তাঁর সরকারকে কাজ দিয়ে বিচার করবে। তাছাড়া ইন্ডিয়া জোট তৈরির পর সরকারকে অনেক বেশি জবাবদিহির মুখে পড়তে হচ্ছে।

সেইজন্যই সাংসদদের প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ, "স্থানীয় ইস্যু, উন্নয়ন নিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। যারা কোনও কারণে রুষ্ট তাদের কাছে টেনে আনার চেষ্টা করুন। সরকারি সুবিধা কেউ না পেয়ে থাকলে তার ব্যবস্থা করুন। শুধু রামমন্দিরের ভরসায় ভোটে জেতার ভাবনা ছাড়তে হবে।"

XS
SM
MD
LG