অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতে হরিয়াণায় হিংসার মূল মাথা বজরং দলের সক্রিয় সদস্য মনু মানেসর


ভারতে হরিয়াণায় হিংসার মূল মাথা বজরং দলের সক্রিয় সদস্য মনু মানেসর
ভারতে হরিয়াণায় হিংসার মূল মাথা বজরং দলের সক্রিয় সদস্য মনু মানেসর

উত্তর ভারতের হরিয়ানায় মারাত্মক হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গুলি চলেছে, মসজিদে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ৩১ জুলাই রাত থেকে হরিয়ানার নুহ ও গুরুগ্রাম জেলায় দফায় দফায় অশান্তির ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনার সূত্রপাত বজরং দলের কর্মী মনু মানেসরের একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে। এলাকায় তার বিরুদ্ধে বহু অপরাধমূলক অভিযোগ রয়েছে অনেক দিন ধরেই। শনিবার গুরুগ্রাম সংলগ্ন নুহ এলাকায় একটি ধর্মীয় মিছিল ছিল। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আয়োজিত সেই মিছিল জাতীয় সড়কে পৌঁছালে একদল যুবক বাধা দেয় এবং পাথর ছোড়ে বলে অভিযোগ। ক্রমেই শুরু হয় হিংসা, সাধারণ মানুষও আক্রান্ত হন, যানবাহনের ক্ষতি হয়।

মনু মানেসর ওরফে মোহিত যাদব বজরং দলের একজন সক্রিয় কর্মী। নিজেকে উগ্র হিন্দুত্ববাদী হিসেবে সর্বদাই প্রতিষ্ঠিত করছে চেয়েছে। তার সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন অনেক ভিডিও আছে, যেখানে মনু বারবার হিন্দুত্ববাদের প্রচার করেছে। সেক্ষেত্রে মুসলিম সম্প্রদায়কে আক্রমণ করে প্রায়শই।

বজরং দলের পাশাপাশি মনু গোরক্ষা দলের সদস্যও। গরু রক্ষা করতে গিয়ে বারবার আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছে মনু। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ফেব্রুয়ারিতে ভিওয়ানিতে গরু পাচারকারী সন্দেহে দু’জনকে পিটিয়ে হত্যায় অভিযুক্ত মনু।

মনুর নাম রয়েছে পুলিশের খাতায়। দুই যুবককে হত্যা করার অভিযোগে মনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এমনকী মনুর বিরুদ্ধে পুলিশ চার্জশিটও জমা দিয়েছে। ফেব্রুয়ারির সেই ঘটনা পর থেকেই পলাতক মনু। বারবার পুলিশ হানা দিয়েছে, তবুও তার সন্ধান মেলেনি। তবে সব সময়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ছিল সে।

হরিয়ানার হিংসার ঘটনায় ফের নতুন করে নাম জড়িয়ে গেল তার। তার ভিডিও ঘিরে সোশ্যাল মিডিযায় ঝড় উঠেছে। ঘটনার পর থেকেই তার গ্রেফতারির দাবিতে সোচ্চার নেটিজেনরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্ট করা হচ্ছে মনুর বিরুদ্ধে। যদিও এখনও পুলিশের নাগালের বাইরে মনু মানেসর।

সোমবার নুহ এলাকায় যে হিংসার আগুন ছড়ায় তা ক্রমশ দাবানলের মতো ছড়াতে থাকে গুরুগ্রাম, ফরিদাবাদে। ঘটনার জেরে বেশ কিছু বাড়িঘর, দোকানেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। হামলা হয় মসজিদে। পুলিশকে লক্ষ্য করেও চলে ইঁট বৃষ্টি। এলাকায় সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য আবেদন করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। চলছে পুলিশের রুটমার্চ।

XS
SM
MD
LG