অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট


জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট
জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট

বাংলাদেশর জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হয়েছে মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। শনিবার (২৯ জুলাই) বেলা ১১টা ৫৮ মিনিটে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র-কে জাতীয় গ্রিডে সমন্বয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন।

তিনি বলেন, “এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬০০ মেগাওয়াট বিশিষ্ট ইউনিট-১ থেকে পরীক্ষামূলক প্রায় ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হয়েছে। ধীরে ধীরে প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়বে।”

কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি ও ধলঘাটা ইউনিয়নে ১ হাজার ৪১৪ একর জমিতে দুই ইউনিট বিশিষ্ট ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান, কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিএল) এটি প্রতিষ্ঠা করে।

জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এই প্রকল্পে অর্থায়ন করছে। এর অধীনে জাহাজ থেকে কয়লা খালাসের সুবিধার্থে একটি গভীর সমুদ্র প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে।

পূর্ণ মাত্রায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য দৈনিক প্রায় ১৩ হাজার ১০৪ টন কয়লার প্রয়োজন হবে। এ জন্য কয়লা খালাসের জেটি ও সাইলো নির্মাণ করা হয়েছে। সাইলোতে ৬০ দিনের জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা রাখা হয়েছে।বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৫ বছরের ছাই সংরক্ষণের জন্য দুটি পৃথক অ্যাশ-পন্ড তৈরি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার ও জাইকার মধ্যে ২০১৪ সালের ১৬ জুন এ প্রকল্পের জন্য ঋণচুক্তি সই হয়। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।এর মধ্যে, ৪৩ হাজার ৯২১ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসেবে জাইকা দিচ্ছে। বাকি ৭ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার ও সিপিজিসিবিএলের নিজস্ব তহবিল থেকে দেয়া হবে।

XS
SM
MD
LG