বাংলাদেশের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এস তাহের আহমেদকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাতে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে, ফাঁসিতে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া দুই জন হলেন; রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনি বিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এবং অধ্যাপক এস তাহেরের বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের কারা-রক্ষক (জেলার) নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, রাত ১০টা ০১ মিনিটে তাদের একযোগে তাদের ফাঁসি দেওয়া হয়। ফাঁসি কার্যকরের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ, ডিআইজি (প্রিজন) কামাল হোসেন, রাজশাহী সিভিল সার্জন আবু সাঈদ মো. ফারুক, উপ-পুলিশ কমিশনার আব্দুল রকিব।
২০২২ সালের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ এই মামলায় তাদের মৃত্যুদণ্ড এবং অন্য দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন; তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলমের আত্মীয় নাজমুল আলম ও আবদুস সালাম।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হওয়ার দু’দিন পর, অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ তার বাড়ির পাশের একটি ড্রেন থেকে উদ্ধার করা হয়। ৩ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে সানজিদের অভিযোগে রাজশাহীর মতিহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এ মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় এবং ইসলামী ছাত্র শিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহীসহ দুইজনকে খালাস দেয়।
পরে, ২০১৩ সালের ১৩ মে হাইকোর্ট মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। আর সালাম ও নাজমুলের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়।