বিধিনিষেধ না থাকায় ওয়েব দুনিয়ায় অপরাধমূলক কাজকর্ম বাড়ছে। এই ট্রেন্ড রুখতে ২০২১ সাল থেকে ভারতে অন্তত ৬৩৫টি ওয়েব লিঙ্ক ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যসভায় এমনটাই ভারতের জানাল কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর বৃহস্পতিবার ২০ জুলাই রাজ্যসভায় বলেন, "ডিজিটাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অপরাধমূলক কাজ রুখতে ১০টি ওয়েবসাইট ও ৫টি অ্যাপের ৬৩৫টি ইউআরএল ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। সেই পেজগুলো আর খোলা যাবে না, দেশের কোনও জায়গা থেকেই সেইসব ওয়েব লিঙ্ক অ্যাকসেস করা যাবে না।"
তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, তথ্য-প্রযুক্তি আইন লঙ্ঘনের দায়ে ২০১৯ সালেই তিন হাজার ৬৩৫টি সোশ্যাল মিডিয়া পেজ এবং অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে এই সংখ্যাটা ছিল দু’হাজার ৭৯৯ এবং ২০১৭-তে তা ছিল এক হাজার ৩৮৫।
ওই সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া পেজ ও অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়ার পক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি, কোনও লাগাম না থাকায় সাইবার দুনিয়ায় যখন, যা খুশি ছড়িয়ে দেওয়া যায়। পরিচয় লুকিয়ে সাইবার দুনিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার এবং অপরাধমূলক কাজকর্ম চলে। ভুয়ো খবর গুজব রটিয়ে দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা হয়। সেই কারণেই ওইসব ওয়েব লিঙ্ক নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ছে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে। সেখানে পোস্ট হওয়া বিষয়বস্তু থেকে ঘৃণা এবং হিংসা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাও বেড়ে চলেছে। ওই সমস্ত পোস্ট এবং বিষয়বস্তু থেকে সাধারণ মানুষকে যাতে দূরে রাখা যায়, তাই তথ্য-প্রযুক্তি আইন ২০০০-এর ৬৯ (এ) ধারায় উল্লিখিত বিধিনিয়ম অনুযায়ী, নির্দিষ্ট পরিকাঠামো মেনে ওই ওয়েব পেজগুলো ব্লক করা হয়েছে।