অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতের গুজরাতের বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় ১১ অপরাধীর মুক্তি নিয়ে চূড়ান্ত শুনানি ৭ আগস্ট জানাল সুপ্রিম কোর্ট


ভারতের গুজরাতের বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় ১১ অপরাধীর মুক্তি নিয়ে চূড়ান্ত শুনানি ৭ আগস্ট জানাল সুপ্রিম কোর্ট।
ভারতের গুজরাতের বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় ১১ অপরাধীর মুক্তি নিয়ে চূড়ান্ত শুনানি ৭ আগস্ট জানাল সুপ্রিম কোর্ট।

ভারতের গুজরাতের বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১১ জন আসামিকে সাজার মেয়াদ ফুরনোর আগেই মুক্তি দেওয়া নিয়ে চূড়ান্ত শুনানি হবে আগামী ৭ অগস্ট। বিলকিস বানোর ধর্ষক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুনের অপরাধে জড়িত আসামিদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলা ওঠে বিচারপতি নাগরত্ন এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুইয়াঁর বেঞ্চে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, মেয়াদ শেষের আগেই অপরাধীদের মুক্তি দেওয়া হবে কিনা তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

গত বছর ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা অমৃত মহোৎসবের আগে বিলকিসকে ধর্ষণ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুনের দোষীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিল গুজরাত। এর পর আদালতের সম্মতিতে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। সরকারি তরফে জানানো হয়, জেলে ওই ১১ অপরাধীর ব্যবহার দেখেই তাদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই যুক্তি মানতে নারাজ ছিলেন অনেক আন্দোলনকর্মী, মানবাধিকার কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে কী কী মানদণ্ড বিবেচনা করে ওই ১১ অপরাধীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, তথ্যের অধিকার আইনে তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু মুক্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী প্যানেলের বৈঠকের আলোচ্য বিষয় নিয়ে তথ্য দিতে চায়নি গুজরাত সরকার। তাই শীর্ষ আদালতে পাল্টা মামলা দায়ের হয়।

ধর্ষকদের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ করে এরপর আইনি পথে হাঁটেন বিলকিস বানো। চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হন তিনি। গত মার্চ মাসে মামলার শুনানিতে ধর্ষকদের মুক্তি সংক্রান্ত কাগজপত্র শীর্ষ আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি কেএম জোসেফ এবং বিচারপতি বিভি নাগরত্নার বেঞ্চ।

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে গোধরা-কাণ্ডের পর গুজরাতে সাম্প্রদায়িক হিংসা চলাকালীন, ৩ মে দাহোড় জেলার দেবগড় বারিয়া গ্রামে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। গ্রামের বাসিন্দা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিসকে গণধর্ষণ করা হয়। বিলকিসের চোখের সামনেই তাঁর ৩ বছরের মেয়েকে নৃশংসভাবে খুন করে অপরাধীরা। এই অপরাধকে ‘বিরল থেকে বিরলতম’ বলেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মুম্বইয়ের সিবিআই আদালতে অপরাধীদের কঠোর সাজা দেওয়ার আর্জিও জানানো হয়েছিল। ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিল ওই বিশেষ আদালত। মামলা চলাকালীন ১ জনের মৃত্যু হয়। বাকি ১১ জন ধর্ষক ও খুনি মুক্তি পায়।

XS
SM
MD
LG