সারা উত্তর ভারত জুড়ে বন্যা পরিস্থিতি। বিপর্যয় থামছে না হিমাচল প্রদেশে। সোমবার সকাল থেকে হিমাচলের কুলুতে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে ফের বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বন্যায় ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। সেই সঙ্গে আহত হন ৩ জন। এখনও অবধি মৃত্যু বেড়ে ১২০ জনে পৌঁছেছে। জলের তোড়ে নিখোঁজ বহু মানুষ। বাড়িঘর, দোকানপাট ভেসে গেছে। ধস নেমে রাস্তা বন্ধ। জলমগ্ন বাসিন্দাদের উদ্ধার করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সেনা নামানো হয়েছে রাজ্যে।
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু জানান শনিবার থেকে লাহুল এবং স্পিতির চন্দ্রতালের কাছে আটকে রয়েছেন বহু পর্যটক। তাঁদের উদ্ধার করার জন্য সব রকম ভাবে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। পর্যটকরা কী অবস্থায় আছেন, সেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য হেলিকপ্টারে করে ওই অঞ্চল পরিদর্শন করেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
চন্দ্রতাল, পাগল নাল্লা, লাহুল-স্পিতি ইতিমধ্যেই ভেসে গেছে। একের পর এক ভূমিধসে তছনছ হয়ে গেছে সব। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। উনা জেলার অবস্থা ভয়াবহ। জলমগ্ন বেশিরভাগ এলাকা। জলস্রোতে ভেসে গেছে ঘরবাড়ি। অন্তত পাঁচশো শ্রমিককে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে গেছেন উদ্ধারকীরা।
উত্তর ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশের অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। এক সপ্তাহ ধরে বৃষ্টির জেরে রাজ্যের বেশির ভাগ জেলাগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নদীগুলি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। কোথাও কোথাও নদীর জল লোকালয়ে ঢুকে প্লাবিত করেছে। জায়গায় জায়গায় পাহাড়ি রাস্তায় ধস নেমেছে। জাতীয় সড়ক, সেতু নদীর জলে ভেসে গেছে।