বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায়, ঢাকার বনানী থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার সাত জনের মধ্যে ২ জনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আর, ৫ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আদালতে হাজির করা হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ছানোয়ার কাজী ও বিপ্লব হোসেনকে সাত দিনের জন্য রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক নূর উদ্দিন।
শুনানি শেষে, ছানোয়ার কাজী ও বিপ্লব হোসেনের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিব। অপর পাঁচ অভিযুক্ত; মাহমুদুল হাসান মেহেদী, মুজাহিদ খান, আশিক সরকার, হৃদয় শেখ ও সোহেল মোল্লাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়।
বনানী থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক জালাল উদ্দীন এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে, উপ-নির্বাচনের দিন সোমবার (১৭ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের বাইরে একদল লোক হিরো আলমকে লাঞ্ছিত করেন। পরে তিনি রামপুরার বেটার লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন।
এ ঘটনায় অজ্ঞাত ১৫ থেকে ২০ জনকে অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করে বনানী থানায় মামলা করেন হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী মো. সুজন রহমান শুভ (২৫)। মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরুর পর হিরো আলম বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করতে থাকেন।
বিকাল সাড়ে ৩টায় হিরো আলম বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে কেন্দ্র পরিদর্শন করতে যান। এরপর, প্রায় ৪০ মিনিট কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ৫ থেকে ৬ জন সহযোগীসহ হিরো আলম বের হয়ে আসার সময় অজ্ঞাত পরিচয় ১৫ থেকে ২০ জন তার গতিরোধ করে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হত্যার উদ্দেশ্যে হিরো আলমকে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে।
এসময় হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী রাজীব খন্দকার, রনি ও আল আমিন তাকে বাঁচাতে এলে, তাদেরও মারপিট করে জখম করা হয়।