অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পর প্রথমবার রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দপ্তরে গেলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়


মমতা বন্দোপাধ্যায়। (ফাইল ছবি)
মমতা বন্দোপাধ্যায়। (ফাইল ছবি)

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে দুর্যোগের কবলে পড়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টার। গত ২৭ জুনের সেই ঘটনায় বাঁ পায়ে হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন তিনি। কোমরে ফিমার বোন-এও আঘাত লেগেছিল। তারপর কলকাতার সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের দেখিয়ে বাড়িতে কার্যত ঘরবন্দী ছিলেন তিনি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, আগামী কিছুদিন মুখ্যমন্ত্রীর কম হাঁটাচলা করলেই ভালো।

তবে কিছুটা সুস্থ হতেই বুধবার ১২ জুলাই রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দপ্তর নবান্নে যান মুখ্যমন্ত্রী। যদিও হাঁটাচলা চিকিৎসকদের পরামর্শে করেছেন ধীর গতিতেই।

চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর ফিজিওথেরাপি চলবে। গত ৬ জুলাই মুখ্যমন্ত্রীর হাঁটুতে মাইক্রো সার্জারি হয়েছে। হাঁটুতে ফ্লুইড জমেছিল। তার বের করা হয়েছে। এর পর আরও তিন চার দিন বাড়িতে বিশ্রাম নেওয়া ছিল বাধ্যতামূলক।

কলকাতায় থাকলে নিয়মিত নিজের সচিবালয়ে এসে দফতরের কাজকর্ম সারেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে উত্তরবঙ্গের ওই কপ্টার দুর্ঘটনার পর থেকে তিনি আর নবান্নে আসতে পারেননি। অবশেষে প্রায় দু’সপ্তাহ পর এদিন তিনি নবান্নে এলেন।

তিনি নবান্নে আসতেই বিরোধী বিজেপি নেতাদের একাংশ কটাক্ষের সুরে মন্তব্য করেন, "সবটাই নাটক। পঞ্চায়েত ভোটের ফল বেরোতেই আবার নবান্নে এলেন তিনি।" এর আগে, "ভোট এলেই মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে কেন চোট লাগে?" প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা বিজেপি-র শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে তার পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সেখানে আশা প্রকাশ করেছিলেন, ভোট বাক্সে বিরোধীদের যাবতীয় কটাক্ষের জবাব দেবেন সাধারণ মানুষ।

XS
SM
MD
LG