ভারতে এবার থেকে জিএসটিকে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট অথবা পিএমএলএ-এর আওতায় নিয়ে এল কেন্দ্র সরকার। গত ৭ জুলাই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই ঘোষণা করা হয়েছে। ২০০৬ সালের পূর্ববর্তী বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করে ওই নতুন বিজ্ঞপ্তিটি জারি করেছে অর্থমন্ত্রক। তাতে বলা হয়েছে, এই সংশোধনের ফলে জিএসটি, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এবং অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থাগুলির মধ্যে তথ্য আদান প্রদান করতে সুবিধা হবে৷
গত বছর, ২০২২-এর নভেম্বরে কেন্দ্র সরকার ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা বা এনআইএ, রাজ্য পুলিশ, বিদেশ মন্ত্রক-সহ মোট ১৫টি সংস্থাকে এই তালিকায় যুক্ত করেছে। এই সংস্থাগুলি এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট একে অপরের সঙ্গে প্রয়োজনীয় তথ্য আদান প্রদান করতে পারবে। একইসঙ্গে এখন জিএসটি সংক্রান্ত কোনও মামলার তদন্তও করতে পারবে ইডি।
যা রয়েছে এই বিজ্ঞপ্তিতে
একইসঙ্গে মনে করা হচ্ছে, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পর জিএসটি সংগ্রহের অনিয়মগুলিও অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। কারণ, ইডি এখন থেকে অর্থ পাচারের মতোই জিএসটি সংক্রান্ত যাবতীয় অপরাধের তদন্ত করতে পারবে।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর এখন কর ফাঁকি ও নথিপত্র জালকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এছাড়াও, জিএসটির অধীনে যে সমস্ত অপরাধ হয়, যেমন জাল ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট, জাল চালান-সহ নানারকম অপরাধ এখন থেকে পিএমএলএ আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ভুয়ো বিলিংয়ের মাধ্যমে সরকারের থেকে কর ফাঁকি ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বলে দাবি অর্থনীতির বিশ্লেষকদের।