দেশের শিক্ষা ও জ্ঞান-কে গণমুখী ও টেকসই করতে, দেশীয় বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য স্কলারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (৯ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর ফেলোশিপ প্রদান অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এ আহবান জানান।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডা-সহ বিদেশে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চতর পড়াশোনা করার জন্য বিভিন্ন সেক্টর থেকে ৪৮ জন স্কলার (৩৮ জন মাস্টার্স ফেলো এবং ১০ জন পিএইচডি ফেলো) এবার ফেলোশিপ পেয়েছেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনাকে প্রথমে দেশকে জানতে হবে, বুঝতে হবে এবং অনুভব করতে হবে। এখান থেকে কিছু জ্ঞান অর্জন করা যেতে পারে। অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা যদি প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে অর্জিত জ্ঞান এবং উচ্চ শিক্ষা থেকে প্রাপ্ত জ্ঞানের মধ্যে সমন্বয় করে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন, তবে উন্নয়ন টেকসই হবে। এভাবেই দেশ এগিয়ে যেতে পারে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “সরকার গত ১৪ বছরে সে অনুযায়ী কাজ করে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা প্রতিটি সেক্টরে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছি।” বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে, জ্ঞান বিকাশের সুযোগকে কাজে লাগাতে তরুণ স্কলারদের পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের উন্নয়নের জন্য বিদেশি মডেলের ওপর নির্ভর না করে তাদের নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা এবং চিন্তাভাবনা প্রয়োগ করার আহবান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের দেশের উন্নয়নে অন্যের মডেল থাকবে না... আমরা দেখবো, অন্যকে জানবো এবং এভাবে জ্ঞান অর্জন করবো। কিন্তু আমাদের নিজেদের মেধা এবং চিন্তা ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহারিক ক্ষেত্রে বা বিবেচনার ক্ষেত্রে কোন জ্ঞান আমাদের জন্য অপরিহার্য তা দেখতে হবে।”
উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের সময় দেশের ভৌগলিক অবস্থান, জলবায়ু, জনগণের মানসিকতা, তাদের সার্বিক অবস্থা এবং দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ বিবেচনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
২০১৮ সালে সিভিল সার্ভিস, একাডেমিয়া এবং দেশের যোগ্য নাগরিকদের জ্ঞান ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর ফেলোশিপ চালু করা হয়। ফেলোশিপ প্রোগ্রাম শুরু হওয়ার পর থেকে, ২৩৯ জন মাস্টার্স ফেলো এবং ৯৮ জন পিএইচডি ফেলো বিশ্বের নামীদামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর শিক্ষা অর্জন করছেন।
পিএইচডি-র বৃত্তির জন্য আবেদনকারীদের প্রথমে তাদের নিজস্ব যোগ্যতায় বিশ্বের ১০০টি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটিতে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। আর স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য ফেলোশিপের ক্ষেত্রে একজন আবেদনকারীকে অবশ্যই তাদের নিজ যোগ্যতায় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ২০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটিতে ভর্তি হতে হবে। ভর্তি নিশ্চিত হলে, শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্ন্যান্স ইনোভেশন ইউনিটের (জিআইইউ) অধীনে বৃত্তির জন্য আবেদন করা যাবে।