২০২৪-এ ভারতে লোকসভা নির্বাচন। আর এক বছরও বাকি নেই। এমন আবহে দিল্লির গদি অক্ষত রাখতে ঘর গোছানোর কাজে আরও তৎপর হল বিজেপি শিবির। অন্ধ্র, ঝাড়খণ্ড, পাঞ্জাব এবং তেলেঙ্গানা চার রাজ্যের দায়িত্বে দলের চার কর্মকর্তাকে বসাল বিজেপি। যাদের মধ্যে দু’জনই আবার এসেছেন অন্য দল থেকে।
যা দেখে রাজনৈতিক র্পযবেক্ষকেরা বলছেন, লোকসভা ভোটকে কেন্দ্র করে সময় থাকতেই যেভাবে বিরোধী দলগুলি অবিজেপি জোট গড়তে তৎপর, ঠিক একইভাবে বসে নেই বিজেপি শিবিরও। চার রাজ্যের দায়িত্বে চার কর্মকর্তাকে বসিয়ে পরোক্ষে সেটাই স্পষ্ট করলেন মোদী-শাহ জুটি।
দলীয় সূত্রের খবর, তেলেঙ্গানার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জি কিষাণ রেড্ডিকে। পাঞ্জাবের দায়িত্বে সুনীল জাখর, ঝাড়খণ্ডের দায়িত্বে বাবুলাল মারান্ডি এবং অন্ধ্রপ্রদেশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডি পুরন্দেশ্বরীকে। চার রাজ্যের নতুন এই সভাপতির হাত ধরেই নতুন করে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে চাইছে বিজেপি শিবির। এদের মধ্যে ডি পুরন্দেশ্বরী ছিলেন কেন্দ্রের প্রাক্তন মন্ত্রী। তাঁকে অন্ধ্রপ্রদেশের নতুন সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ওবিসি নেতা এটেলা রাজেন্দরকে তেলেঙ্গানার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একইভাবে অশ্বনি শর্মার জায়গায় জাখর, দীপক প্রকাশের জায়গায় মারান্ডিকে দায়িত্বে নিয়ে এসেছেন নেতৃত্ব।
বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ , সাংগঠনিক এই রদবদলে দলের আদি এবং নব্য সদস্যদের মধ্যে সমন্বয় রক্ষারও চেষ্টা করা হয়েছে। অন্যান্য দল থেকে বিজেপিতে যোগদানকারী নেতাদের প্রাধান্য দেওয়ার বিষয়টিও সামনে এসেছে। যা লোকসভা ভোটের আগে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ, জাখর এবং রাজেন্দর যথাক্রমে কংগ্রেস এবং বিআরএস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। দলীয় সূত্রের খবর, শীঘ্রই এই রাজ্যে ঢেলে সাজানো হবে সংগঠন। উদ্দেশ্য একটাই, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে অবিজেপি জোটকে পরাস্ত করে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে তৃতীয়বারের জন্য গেরুয়া সরকার প্রতিষ্ঠিত করা।