মোদী পদবিধারীদের মানহানির মামলায় ভারতের জাতীয় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সাজা মকুবের আর্জি গত ২ মে খারিজ করে দিয়েছিল গুজরাত হাইকোর্ট। কিন্তু বিচারপতি আরএম প্রচ্ছক সেদিন লিখিত রায় দেননি। রায় পরবর্তী সময়ে দেওয়া হবে বলে বিচারপতি ঘোষণা করেন সেদিন।
তারপর দু’মাস কেটে গিয়েছে। গুজরাত হাইকোর্ট এখনও পূর্ণাঙ্গ রায় ঘোষণা করেনি। বিচারপতি প্রচ্ছকের বেঞ্চের এজলাসে মামলাটি আর ওঠেনি।
মৌখিক রায় ঘোষণার তিনদিনের মাথায় ৫ মে থেকে হাইকোর্টে গরমের ছুটি পড়ে যায়। ছুটি শেষে ৩ জুন হাইকোর্ট খুলেছে। বিচারপতি প্রচ্ছক আদালতে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু এখনও রায় কেন ঘোষণা করছেন না তা স্পষ্ট নয় রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কাছে।
হাইকোর্টের লিখিত রায় পেলে রাহুল গান্ধী গুজরাত হাইকোর্টেরই ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করতে পারবেন। কিন্তু বিষয়টি থমকে আছে সিঙ্গল বেঞ্চ লিখিত রায় না দেওয়ায়। যদিও রাহুলের জামিনের মেয়াদ আদালত বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু সাজার উপর স্থগিতাদেশ না মেলায় তিনি সংসদে ফিরতে পারছেন না।
এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস হাইকোর্টে আর্জি পেশ করার ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে। মোদী পদবিধারীদের মামহানির মামলায় গুজরাতের সুরাতের নিম্ন আদালত রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করে দেয়। সংশ্লিষ্ট ধারায় দু’বছরই সর্বোচ্চ কারাবাসের সাজা। কংগ্রেস নেতাকে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ায় রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়। রাহুলের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি আদালতে বলেন, "কংগ্রেস নেতা সর্বোচ্চ সাজা ভোগ করার মতো অপরাধ করেননি। হাইকোর্টের রায়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার কথা, কেন রাহুলের জন্য সর্বোচ্চ সাজাই ন্যায্য বিচার।"
এর আগে সুরাতের জেলা আদালতও রাহুলের সাজা বহাল রাখে। তবে জেলা আদালত কংগ্রেস নেতাকে একটি বিষয়ে স্বস্তি দিয়েছে। আদালত বলেছে, সাজা মকুবের জন্য রাহুল গান্ধী যতদিন আইনি লড়াই চালাবেন ততদিন জামিনে মুক্ত থাকবেন তিনি। গুজরাত হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ লিখিত রায় ঘোষণা না করায় জামিনে মুক্তির মেয়াদ বাড়ছে রাহুলের। তবে সাজা মকুব না হলে চলতি সংসদে ফেরার সম্ভাবনা নাকচ হয়ে যাবে যদি নির্বাচন কমিশন রাহুল গান্ধীর সংসদীয় কেন্দ্র ওয়ানাডে উপনির্বাচন ঘোষণা করে দেয়। সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসাবে তিনি উপনির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।