অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

খাদ্যশস্য ধারণক্ষমতা ৩৫ লাখ টনে উন্নীত করা হবে: সাধন চন্দ্র মজুমদার


বাংলাদেশের একটি বাজারের পাশে নৌকায় ধানের বস্তা বোঝাই করছে কৃষকরা। (ফাইল ছবি)
বাংলাদেশের একটি বাজারের পাশে নৌকায় ধানের বস্তা বোঝাই করছে কৃষকরা। (ফাইল ছবি)

বাংলাদেশের খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন যে দেশের খাদ্যগুদামে খাদ্যশস্য ধারণক্ষমতা ৩৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করা হবে। রবিবার (২ জুলাই) দুপুরে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় নবনির্মিত খাদ্য সংরক্ষণাগার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

সাধন চন্দ্র মজুমদার আরো জানান যে বাংলাদেশে এখন ২১ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ধারণ ক্ষমতা আছে। আর বর্তমানে খাদ্যশস্য মজুদ আছে ২০ লাখ টনের ওপর। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “দেশে ৮টি আধুনিক স্টিল সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে। এর কাজ প্রায় শেষের দিকে। এতে করে সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।”

তিনি বলেন, “পাশাপাশি সারাদেশে ৫ হাজার মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতার আরো ২০০টি পেডি সাইলো নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে ৩০টির অনুমোদন পাওয়া গেছে। পেডি সাইলো নির্মিত হলে, প্রান্তিক কৃষক সহজেই ধান সরবরাহ করতে পারবেন। কৃষক ভেজা ধান নিয়ে এলেও, তা রাখার সুযোগ থাকছে। ভেজা ধান রাখলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা শুকিয়ে যাবে। তখন আর কোনো কৃষকের ধান ফেরত নিয়ে যেতে হবে না।”

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “চলতি বোরো মৌসুমে সরকার সাড়ে ১২ লাখ মেট্রিক টন চাল ও ৪ লাখ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগস্ট মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত সংগ্রহের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।” তিনি জানান, “ঈদের আগে ৭ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল ও ১ লাখ ২১ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত ধান-চাল ক্রয়ের পরিস্থিতি সন্তোষজনক।”

XS
SM
MD
LG