অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মণিপুর সফর ঘিরে উতপ্ত রাজ্য, থামল কনভয়, চলল পুলিশের লাঠি-টিয়ার গ্যাস


কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মণিপুর সফর ঘিরে উতপ্ত রাজ্য, থামল কনভয়, চলল পুলিশের লাঠি-টিয়ার গ্যাস
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মণিপুর সফর ঘিরে উতপ্ত রাজ্য, থামল কনভয়, চলল পুলিশের লাঠি-টিয়ার গ্যাস

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সফরকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার ২৯ জুন অন্য চেহারা নিল জনজাতি দাঙ্গায় অশান্ত উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুর। পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা মতোই রাহুল রাজধানী ইম্ফল থেকে জাতি দাঙ্গায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ চূড়াইচাঁদপুর যাচ্ছিলেন। কিন্তু ইম্ফল থেকে কুড়ি কিলোমিটার দূরে বিষ্ণুপুরে মণিপুরের বিজেপি সরকারের পুলিশ রাহুলের কনভয় আটকে দেয়। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আশেপাশের এলাকা এবং জেলা থেকে বিপুল সংখ্যায় কংগ্রেস সমর্থকেরা সেখানে জড়ো হতে থাকেন।

প্রশাসনের তরফে রাহুল গান্ধীকে বলা হয়, বাকি পথ নিরাপদ নয়। রাহুলের কনভয়ের উপর গ্রেনেড হামলা হতে পারে। কংগ্রেস পাল্টা প্রশ্ন তোলে সকালেই কেন সেই কথা জানানো হল না।

রাজ্য প্রশাসন এই ব্যাপারে মুখ না খুললেও বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, "রাহুল গান্ধীর যে দায়িত্ববোধ নেই মণিপুরে ফের তা প্রমাণিত হল। সকালেই বিমানবন্দরে তাঁকে প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছিল, হেলিকপ্টারে যান। রাস্তা নিরাপদ নয়। কিন্তু কংগ্রেস নেতা প্রশাসনের পরামর্শ কানে তোলেননি।" পরে রাহুল অবশ্য ইম্ফলে ফিরে এসে কপ্টারে চূডাইচাঁদপুর যান।

কিন্তু বিষ্ণুপুরে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। ব্যারিকেড ভেঙে সামনের দিকে এগিয়ে যান বিক্ষোভকারী মহিলারা। তাঁদের দাবি, রাহুল গান্ধী রাজনীতি করতে আসেননি। বিজেপি সরকার রাজনীতি করে রাহুলকে আটকে দিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধ্বস্তাধ্বস্তি শুরু হয়। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভকারীরা এগিয়ে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে, টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায়।

XS
SM
MD
LG