এক সপ্তাহ আগেই ভারতের মহারাষ্ট্রে বরিষ্ঠ রাজনীতিবিদ ও এনিসিপি দলের সুপ্রিমো ও সভাপতি শরদ পাওয়ার কন্যা সুপ্রিয়া সুলেকে এনসিপি-র কার্যকরী সভাপতি করেছেন। কার্যকরী সভাপতি পদে বসিয়েছেন তাঁর অত্যন্ত বিশ্বস্ত প্রফুল প্যাটেলকেও।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে মহারাষ্ট্রের রাজনীতির আনাচেকানাচে চর্চা ছিলই কবে এর বিরুদ্ধে শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার মুখ খুলবেন। তার উপর স্বয়ং শরদ পাওয়ার মন্তব্য করেছিলেন অজিত ইতিমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন আছে। তাঁর পদোন্নতির বিষয়টি তাই আলোচনায় আসেনি।
বুধবার ২১ জুন শরদের উপস্থিতিতেই সেই ‘গুরুত্বপূর্ণ’ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন অজিত। আর এরজন্য বেছে নিলেন দলের ২৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান। মুম্বইয়ের মঞ্চে তখন শরদ ছাড়াও উপস্থিত দুই কার্যকরী সভাপতি সুপ্রিয়া সুলে ও প্রফুল প্যাটেল এবং দলের বাকি শীর্ষ নেতারা।
সেই অনুষ্ঠানে অজিত বলেন, "বিরোধী দলনেতা হওয়ার ইচ্ছা আমার ছিল না। বিধায়কেরা খুব করে ধরেছিল তাই রাজি হয়েছিলাম। কিন্তু ওই দায়িত্ব আমার মোটেও ভাল লাগছে না। আমি দলের কাজে ফিরতে চাই। দলকে মহারাষ্ট্রের শাসন ক্ষমতায় ফেরাতে চাই।"
ঠিক এক মাস আগে মুম্বইয়ের একই প্রেক্ষাগৃহে শরদ পাওয়ার তাঁর আত্মজীবনী প্রকাশ অনুষ্ঠানে দলীয় সভাপতির পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে দর্শকাসন থেকে আপত্তি উঠেছিল। চারদিন পর দলের অনুরোধে ফের সভাপতি পদে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
অজিতের ঘোষণার পর রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে শরদের ভাইপো তাহলে কী চাইছেন সে বিষয়ে। অনেকেই মনে করছেন বোন সুপ্রিয়া এবং শরদের ঘনিষ্ঠ প্রফুল প্যাটেল কার্যকরী সভাপতির পদ পেয়ে যাওয়ায় অজিত মহারাষ্ট্র এনসিপির শীর্ষে বসতে চান। এখন ওই পদে আছেন জয়ন্ত্ প্যাটেল। এনসিপি এখন মহারাষ্ট্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। মাস দুই আগে জাতীয় দলের মর্যাদাও হারিয়েছে দলটি। তাই অজিত মনে করছেন, বিরোধী দলনেতার থেকে মহারাষ্ট্রে পার্টির প্রধান হওয়া অনেক সম্মানের।