বাংলাদেশের সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) বৈঠকে আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) ২টি কার্গো এবং ৯৫ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানিসহ মোট ৩৪টি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সিসিজিপির ভার্চুয়াল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
সিসিজিপির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা সিঙ্গাপুরের গানভোর সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড থেকে ২ কার্গো এলএনজি আমদানি করবে। প্রতিটি কার্গোর পরিমাণ হবে ৩৩ দশমিক ৬০ লাখ এমএমবিটিইউ।
প্রথম এলএনজি কার্গোর প্রতি এমএমবিটিইউ মূল্য ১২ ডলার ৯৮ সেন্ট। এই দাম অনুযায়ী প্রথম কার্গোর মোট মূল্য হবে ৫৫৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। দ্বিতীয় এলএনজি কার্গোর প্রতি এমএমবিটিইউ মূল্য ১৩ ডলার ৮৫ সেন্ট। এই দাম অনুযায়ী দ্বিতীয় কার্গোর মোট মূল্য হবে ৫৯৫ কোটি ১০ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন (বিএডিসি) রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির অধীনে তিউনিসিয়ার জিসিটি থেকে ৯১ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৫ হাজার মেট্রিক টন (এমটি) টিএসপি সার, ১১০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে মরক্কোর ওসিপি, এসএ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার এবং ২০৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে মরক্কোর ওসিপি, এসএ থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি করবে।
এ ছাড়া, সিসিজিপির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কোনো টেন্ডার ছাড়াই সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির মাধ্যমে ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থানীয় একটি কোম্পানির দুটি আউটলেট থেকে মোট ৫০ মিলিয়ন লিটার রাইস ব্র্যান তেল ক্রয় করবে।
এর মধ্যে ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন লিটার যশোরের মজুমদার ব্র্যান অয়েল মিলস লিমিটেড থেকে কেনা হবে এবং বাকি ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন লিটার ঢাকার মজুমদার প্রোডাক্টস লিমিটেড থেকে কেনা হবে।