অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

খায়রুজ্জামান লিটন তৃতীয়বারের মতো রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত


খায়রুজ্জামান লিটন তৃতীয়বারের মতো রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত
খায়রুজ্জামান লিটন তৃতীয়বারের মতো রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।

বুধবার (২১ জুন) দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে রাতে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন।

নগরীর ১৫৫টির মধ্যে সবকটি কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত বেসরকারি ফলাফলে ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী হাতপাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৩ হাজার হাজার ৪৮৩ ভোট।

প্রসঙ্গত, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর রাজশাহী সিটি করপোরেশনে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মুরশিদ আলম (হাতপাখা) নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেন। তারপরও তিনি ১৩ হাজার হাজার ৪৮৩ ভোট পেয়েছেন।

এ ছাড়া, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন পেয়েছেন ১০ হাজার ২৭২ ও জাকের পার্টির প্রার্থী গোলাপফুল প্রতীক ১১ হাজার ৭১৩ ভোট। এই নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৫২ শতাংশ।

বুধবার সকাল ৮টা থেকে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা একটানা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এই সিটি নির্বাচনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন।

নির্বাচনে মোট ১৫৫টি কেন্দ্রের সবগুলোতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোটকেন্দ্রগুলোতে স্থাপন করা হয় ১ হাজার ৫৬০টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। ঢাকায় বসে সিসি ক্যামেরায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) কমিশনের সদস্যরা।

এবারের ভোটে জিতে সব মিলে তিনবার মেয়রের চেয়ারে বসছেন খায়রুজ্জামান লিটন। এর আগে ২০০৮ সালে খায়রুজ্জামান লিটন ৯৮ হাজার ৩৬০ ভোট পেয়ে প্রথমবার নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। তিনি পেয়েছিলেন ৭৪ হাজার ৫৫০ ভোট।

এরপর ২০১৩ সালে বিএনপির প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের কাছে হেরেছিলেন খায়রুজ্জামান। তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয় পান লিটন। সে বারও তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির প্রার্থী বুলবুল। লিটন নৌকা প্রতীকে পান ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৬ ভোট। আর বিএনপির মোসাদ্দেক হেসেন বুলবুল ধানের শীষ প্রতীকে পান ৭৭ হাজার ৭০০ ভোট। ভোট পড়েছিল ৭৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

তবে এবার শক্ত প্রতিদ্বন্বদী না থাকায় শুরু থেকেই নির্বাচন ছিল অনেকটাই নিরুত্তাপ। মেয়র পদে প্রার্থী ছিলেন ৪ জন।

এবার ২৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন ১১১ জন। একটি ওয়ার্ডে একজন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪৬ জন প্রার্থী। রাজশাহী সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ছিলেন ৬ জন। এ ছাড়া, তৃতীয় লিঙ্গের একজন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীও ছিলেন।

XS
SM
MD
LG