অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মোদীর যুক্তরাষ্ট্র সফর: ভারতে মানবাধিকার রক্ষার দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচী আমেরিকার অধিকার রক্ষা সংগঠনগুলির


মোদীর যুক্তরাষ্ট্র সফর
মোদীর যুক্তরাষ্ট্র সফর

আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন-এর আমন্ত্রণে তাঁর এই রাষ্ট্রীয় সফর। এই সফরের মাধ্যমে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিতে দু’পক্ষই তৎপর। মোদীর সফরে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। তারমধ্যে অন্যতম হল প্রতিরক্ষা চুক্তি। চীনের মোকাবিলায় ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এই সফরকে মাইলফলক হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা হচ্ছে।

তবে সফরে কিছু অস্বস্তিও অপেক্ষা করছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর জন্য। প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় যুক্তরাষ্ট্রের অধিকার রক্ষা সংগঠনগুলি ওয়াশিংটনে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, ভারতে মানবাধিকার বিপন্ন।

প্রতিবাদী সংগঠনগুলির অন্যতম হল, ইন্ডিয়ান আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিল, পিস অ্যাকশন, ভেটেরান্স ফর পিস এবং বেথেসডা আফ্রিকান সিমেট্রি কোয়ালিশন। ২২ জুন হোয়াইট হাউসের কাছে জড়ো হওয়ার পরিকল্পনা করছে সংগঠনগুলি। ওই দিনই ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে হোয়াইট হাউসে অভ্যর্থনা জানানোর পর তাঁর সম্মানে নৈশ ভোজের আয়োজন করেছেন জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের তরফে এমন সম্মান বিরল যা মোদী পেতে চলেছেন। শেষ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এই সম্মান পেয়েছিলেন নরসিংহ রাও।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার সংগঠনগুলির মোদীকে এমন আপ্যায়নে আপত্তি আছে। প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদী হলেন সেই রাষ্ট্রপ্রধান গুজরাত দাঙ্গার কারণে যাঁকে তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন ভিসা দিতে অস্বীকার করেছিল। মানবাধিকার সংগঠনগুলির বক্তব্য, মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গোটা দেশেই মানবাধিকার বিপন্ন। ইতিমধ্যে সংগঠনগুলি কিছু পোস্টার তৈরি করেছে, যাতে লেখা ‘মোদি নট ওয়েলকাম’ এবং ‘হিন্দু আধিপত্য থেকে ভারতকে রক্ষা করো।’

নিউ ইয়র্ক-এও একটি প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে মোদীর সফরের সময়। সেখানে ‘হাউডি ডেমোক্রেসি’ শীর্ষক একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হচ্ছে। তাতে ভারতে গণতান্ত্রিক পরিমণ্ডলের দুরবস্থার চিত্র তুলে ধরা হবে।

ঘটনাটক্রে রাহুল গান্ধী এখনও যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। তিনি ২০ জুন দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন। অন্যদিকে, পরদিন আমেরিকার মাটিতে পা রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। গত ৩০ মে থেকে টানা সে দেশে রয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। রাহুল সফরের প্রথম দুই সপ্তাহ নিউ ইয়র্ক এবং ওয়াশিংটনের মতো শহরে ভারতে গণতন্ত্রের বিপন্নতার কথা বলেছেন। মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও। তুলে ধরেছেন ভারতে সংখ্যালঘুদের বিপন্নতার কথাও।

স্বভাবতই মোদীর সফরে মানবাধিকার সংগঠনগুলির কর্মসূচি বাড়তি মাত্রা পেতে চলেছে এবার। মোদীর সফরের সময়ই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ নীতিনির্ধারক, সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বিবিসির ‘মোদী দ্য ইন্ডিয়া কোয়েশ্চেন’ তথ্যচিত্রটি নিউ ইয়র্ক-এ দেখানোর ব্যবস্থা করেছে।

প্রসঙ্গত হালে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান, মানবাধিকার সংগঠন ভারতে সংখ্যালঘুদের ধর্মাচরণের অধিকার, সামগ্রিক মানবাধিকার নিয়ে সরব হয়েছে। মুখ খুলেছে মোদীর জমানায় সংবাদমাধ্যমের অধিকার নিয়েও।

XS
SM
MD
LG