শক্তি বাড়িয়ে ‘অতি বিপজ্জনক ঘূর্ণিঝড়ের’ চেহারা নিয়েছে বিপর্যয় । তারই প্রভাবে তুমুল জলোচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে ভারতের মুম্বইয়ের কোলাবার সৈকতে। ভারতের মৌসম ভবন জানাচ্ছে, আরব সাাগরে দাপট বাড়াতে শুরু করে দিয়েছে সাইক্লোন । আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, ১৫ জুন বৃহস্পতিবার কচ্ছ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। ল্যান্ডফলের সময় এই সাইক্লোন-এর গতিবেগ পৌঁছতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী এই দুর্যোগে ভারতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে গুজরাতে। রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে গত কয়েক দিন যাবত। জনজীবন অনেকটাই স্তব্ধ।
সোমবার ১২ জুন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, দুর্যোগের সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে পশ্চিম রেলে। তাই রেলের ওই জ়োনের নিয়ন্ত্রণাধীন একাধিক গন্তব্যে যাওয়ার ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হচ্ছে। ঝড়ের অভিমুখ এবং প্রভাব লক্ষ করে পরে আরও কিছু ট্রেন বাতিল করা হতে পারে বলে রেল সূত্রে খবর।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ধাক্ক সামলাতে ঠিক কতটা প্রস্তুত কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি, কতটা তৈরি রয়েছে গুজরাত প্রশাসন - এইসব খতিয়ে দেখতে সোমবার উচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সংবাদ সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ, ‘বিপর্যয়’-এর অভিঘাত আছড়ে পড়তে পারে এমন এলাকা থেকে সমস্ত বাসিন্দাদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও পানীয় জলের মতো জরুরি পরিষেবা যাতে বিপর্যস্ত না হয় সে দিকেও নজর রাখতে আমলাদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
ইতিমধ্যেই লাল সতর্কতা জারি হয়েছে গুজরাতের একাধিক এলাকায়। কচ্ছ, পোরবন্দর, দ্বারকা, জামনগর, জুনাগড়, মোরবি এলাকায় এই ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা। এই সমস্ত জেলায় উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। সমস্ত বন্দর সংলগ্ন এলাকায় অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
১৪ জুন, বুধবারও প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হবে গুজরাতে। ওইদিন থেকেই গুজরাতের উপকূলে কমলা সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। গুজরাতে আছড়ে পড়ার পর এই সাইক্লোন ধীরে ধীরে উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে।