বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, “কোনো দেশ বা সংস্থার কাছ থেকে বর্তমান সংবিধানের বাইরে গিয়ে রাজনৈতিক সংলাপের কোনো প্রস্তাব বা পরামর্শ পাইনি।” রবিবার (১১ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, “এমনকি কোনো দেশ বা সংস্থা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার অন্যান্য কলিগদের কাছেও এমন কোনো প্রস্তাব দেয়নি। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ (বিরোধীরা) কেন এসব কথা বলছেন, আমি জানি না। তবে আমরা কোনো দেশ বা সংস্থার কাছ থেকে এমন কোনো প্রস্তাব পাইনি।”
জাতিসংঘকে যুক্ত করার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “কোন প্রয়োজন নেই। জাতিসংঘ যুদ্ধ, গৃহযুদ্ধ বা ব্যাপক সংঘাতের পরিস্থিতিতে জড়িয়ে পড়ে।তেমন পরিস্থিতি অনেককাল আগে অতিক্রম করেছে বাংলাদেশ।”
শাহরিয়ার আলম বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন কাজ করছে এবং এই প্রচেষ্টা সার্টিফাই করার জন্য ইসি বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণ জানাবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রলালয় ইসির দেয়া নির্দেশনা প্রতিপালন করবে।”
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশ এখনো রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা অতীতে যা বলেছি, তা অপরিবর্তিত রয়েছে।”
তিনি বলেন, “তাদের (রোহিঙ্গাদের) অবশ্যই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে এবং মিয়ানমারের পরিস্থিতি রোহিঙ্গাদের জন্য সন্তোষজনক না হলে তারা ফিরে আসতে পারে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক, যারা প্রত্যাবাসনের জন্য ট্রানজিট ক্যাম্পে অবস্থান করছিলেন, জাতিসংঘের সংস্থা তাদের খাদ্য সরবরাহ করেনি।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এ ধরনের দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। অবশ্যই, জাতিসংঘ এটি দেখবে।” তিনি বলেন, মিয়ানমারের বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞের বক্তব্য, প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে ক্ষুন্ন ও অসম্মান করে।”
শাহরিয়ার আলম বলেন, “এটি কোনো বড় মাপের প্রত্যাবাসন নয়। যেহেতু সংখ্যাটি নগণ্য, তাই আমরা তাদের ফিরিয়ে আনতে পারি, যদি এটি কাজ না করে। আমরা এর বিরুদ্ধে যাওয়ার কোনো কারণ দেখি না।” সরকার ইউএনএইচসিআরকে এ বিষয়ে অবহিত করেছে বলে জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।