অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতে বাতিল হবে না ৫০০ টাকার নোট জানিয়ে দিলেন আরবিআই গভর্নর


২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে ‘নোটবন্দি’র কথা ঘোষণা করেন। জানান, কালোবাজির রুখতে বাজার থেকে তুলে নেওয়া হবে পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট। চালু করা হয় নতুন ৫০০ ও ২০০০ টাকার নোট। সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা আরবিআই ঘোষণা করে যে, তারা বাজারে যে দু' হাজার টাকার নোট ছেড়েছিল, সেগুলি তুলে নেবে। নতুন করে আর ছাপানো হবে না এই গোলাপি নোট।

এই ঘোষণার পরপরই প্রশ্ন ওঠে, ২ হাজারের পাশাপাশি, ৫০০ টাকার নোটও তুলে নেবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তা নিয়ে। প্রশ্ন জাগে ফের কি ১০০০ টাকার নোট চালু হওয়া নিয়েও। বৃহস্পতিবার ৮ জুন এব্যাপারে আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানান, তাঁদের ৫০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, বাজারে ১০০০ টাকা আনার কোনও পরিকল্পনা নেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের।

গত ৬ জুন থেকে শুরু হয়েছিল আরবিআইয়ের মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠক। সেই বৈঠকে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার এই বৈঠক শেষে আরবিআই গভর্নর জানান, "৫০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার বা ১০০০ টাকা চালু করার কোনও পরিকল্পনা এখনই নেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। তাই অযথা চিন্তা করার কোনও প্রয়োজন নেই।"

শুধু তাই নয়, এদিন শক্তিকান্ত এও বলেন, ইতিমধ্যেই ২০০০ টাকার নোটের ৫০ শতাংশ বাজার থেকে ফিরে এসেছে। বাজারে মোট ৩ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকার মূল্যের ২ হাজার টাকার নোট ছাড়া হয়েছিল। তারমধ্যে ১ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকা উঠে এসেছে। তিনি আরও বলেন, "নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাকি নোট ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।" অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্যাঙ্কে ২০০০ টাকার নোট ফেরতের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে আরবিআই।

২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে ভারত সরকার ৫০০ ও ১০০০ টাকা বাতিলের কথা ঘোষণা করে। তারপর টাকার চাহিদা পূরণ করতে বাজারে ২০০০ টাকার নোট নিয়ে আসে আরবিআই। অর্থনীতিতে নোটের চাহিদা পূরণ সম্পন্ন হয়। তাই ২০১৮ সাল থেকে ২০০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।

XS
SM
MD
LG