অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর ও আশ্বাসের পরেও দুই জনজাতি রক্তক্ষয়ী বিবাদ থামছে না মণিপুরে


ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য মণিপুরে গত ৩ মে থেকে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে অবিরাম দুই জনজাতির মধ্যে হিংসা অব্যহত আছে। একটি দিনের জন্যও রাজ্য হিংসামুক্ত থাকেনি। পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার ৫ জুন কুকি জঙ্গিদের হাতে খুন হয়েছেন তিন জন, যাদের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মণিপুর সফরে গিয়ে পনেরো দিনের জন্য শান্ত থাকার আর্জি জানিয়েছিলেন বিবাদমান দুই পক্ষকেই। কুকি এবং মইতেই সম্প্রদায়ের নেতাদের মুখোমুখি বসিয়ে কথা দিয়েছিলেন, পনেরো দিন রাজ্য শান্ত থাকলে দু পক্ষের দাবিই সরকার বিবেচনা করবে। কিন্তু তাতে কিছুই হয়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিল্লিতে পা রাখার পর দিন থেকেই নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে দুই পক্ষের।

এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার ৬ জুন দিল্লিতে মণিপুরের নাগা বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। ১০ নাগা বিধায়কের চারজন বিজেপির। মণিপুরের জনসংখ্যার একাংশ জাতিগতভাবে নাগা। নাগাল্যান্ড সরকার ইতিমধ্যে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে নাগাদের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। নাগাদের সঙ্গে কুকিদের জাতিগত নৈকট্য থাকলেও চলতি সংকটে তারা কোনও পক্ষে যোগ দেয়নি।

গুলিতে তিন ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে ইম্ফলের পশ্চিম প্রান্তে। ইম্ফল পশ্চিম এবং কাঙ্ছাং এলাকা নিয়ে চিন্তা বেশি প্রশাসনের। এই দুই এলাকা কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। কাঙ্ছয়ে রবিবার দুজনকে হত্যা করা হয়। সব মিলিয়ে ৩ মে থেকে সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮। বেসরকারি মতে মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি। স্থানীয়দের বক্তব্য, ৩ মে থেকে পরের এক সপ্তাহ ধরে হত্যা যজ্ঞে নিহত বহু মানুষের দেহ লোপাট করে দেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার রাজ্যকে অস্ত্র মুক্ত করতে চায় বলে শান্তি বৈঠকে দুই পক্ষকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো ১৪০ টি মারাত্মক অস্ত্র ফিরিয়ে দেয় জঙ্গিরা। এখন দেখা কাছে জঙ্গি শিবির ভাঙতে গেলেই তুমুল প্রতিরোধের মুখে পড়ছে পুলিশ ও সেনা। আবার অভিযান শেষ হতেই হামলার ঘটনা ঘটছে। যা থেকে পর্যবেক্ষকদের অনুমান, কোনও পক্ষই আপাতত শান্তির পক্ষে নয়।

XS
SM
MD
LG