বাংলাদেশের পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কয়লা সংকটের কারণে, সোমবার (৫ জুন) দুপুর ১২টা ৫মিনিটে এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা হয়।
এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে, ঢাকা শহর এবং অন্যান্য জায়গায়, চমান লোডশেডিং পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।
তারা জানান, পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট বন্ধ থাকায় সোমবার দুপুর ১২টায় দেশে লোডশেডিং বেড়ে ২ হাজার ৬৭৫ মেগাওয়াটে হয়েছে; রবিবার লোডশেডিং ছিলো ২ হাজার ২৮৭ মেগাওয়াট।
বিপিডিবির একজন কর্মকর্তা, জাতীয় লোড ডেসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্য উল্লেখ করে বলেছন, “এর অর্থ হলো, পায়রা পাওয়ার প্ল্যান্টের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার কারণে,৩৮৮ মেগাওয়াট অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কবলে পড়লেন গ্রাহকরা।”
তিনি বলেন, “সোমবার দুপুর ১২টায় দেশে ১৪ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে ১২ হাজার ৯৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।”
এনএলডিসি-এর পূর্বাভাসে দেখা যায় যে সারাদেশের চাহিদা ১৫ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট-এ উন্নীত হতে পার। ধারণা করা হচ্ছে তখন উৎপাদন হবে ১৪ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। পিক-আওয়ারে সাড়ে ৩ হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হতে পারে বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।