বাংলাদেশ চলতি বছরের মে মাসে পণ্য রপ্তানি করে ৪৮৫ কোটি ডলার আয় করেছে। ২০২২ সালের মে মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছিলো ৩৮৩ কোটি ডলার। আর, ২০২২-২৩ সালের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) বাংলাদেশ থেকে ৫০৫২ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
রবিবার (৪ জুন) প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরের এপ্রিলে পণ্য রপ্তানি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। এ সময় হঠাৎ করেই রপ্তানি ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ কমে ৩৯৬ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। মে মাসে রপ্তানি বাড়ে ৮৯ কোটি ডলার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছর, ২০২২-২৩ সালের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) ৫০৫২ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ রপ্তানি ৭ দশমিক ১১ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে রপ্তানি পণ্যের মূল্য ছিলো ৪৭১৭ কোটি ডলার।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, নন-লেদার জুতা ও প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। তবে, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত খাদ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এবং প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৪২৬৩ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছর ২০২১-২২ এর একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি পণ্য ছিলো ১১২ কোটি ডলার মূল্যের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। এই খাতে প্রবৃদ্ধি ৪২ শতাংশ।
তৃতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি পণ্য হলো, ১০২ কোটি ডলার মূল্যের হোম টেক্সটাইল পণ্য। এ খাতের রপ্তানি কমেছে ৩০ শতাংশ।